বিবিসি জানায়, করোনাভাইরাস মহামারীর বিস্তার রোধে আরোপ করা নানা বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে রোববার পেশাওয়ার নগরীতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেছে।
তাদের অভিযোগ সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়েই ইমরান খান সরকার ক্ষমতায় এসেছে এবং তাকে সামনে রেখে মূলত সেনাবাহিনীই দেশ পরিচালনা করছে।
তবে পাকিস্তানের প্রভাবশালী সেনাবাহিনী বিরোধীদলগুলোর এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনে জিতেছেন।
এখন যখন প্রতিশ্রুতি পূরণে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন, তখন বিরোধীদলগুলোর দুর্নীতিবাজ নেতাদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা বাতিলে তার উপর চাপ প্রয়োগ করতেই এই সরকার-বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
কারা এ বিক্ষোভ করছে?
গত ১৬ অক্টোবর থেকে পাকিস্তানের বিরোধীদলগুলো ‘দ্য পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট’ (পিডিএম) নামে একটি জোট গঠন করে ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে দফায় দফায় গণবিক্ষোভ করছে।
এই জোটে কট্টর ডানপন্থি ধর্মভিত্তিক দল থেকে শুরু করে মধ্যপন্থি এবং মধ্য-বামপন্থি দেশটির প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল, এমনকি ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদী দলগুলোর সদস্যরাও রয়েছেন।
এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের চারটি প্রদেশের মধ্যে তিনটিতেই (পাঞ্জাব, সিন্ধু ও বালচিস্তান) বৃহৎ গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার খাইবার পাকখতুনখাওয়া প্রদেশে প্রথমবার পিডিএম-র সমাবেশ হল।
বিরোধীদলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা দেশের বর্তমান ‘অপ্রতিনিধিত্ব মূলক’ সরকারকে উৎখাত করতে চায়। তাদের অভিযোগ, এই সরকার দেশের বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করছে এবং দেশের অর্থনীতিতে চরম অব্যবস্থাপনা চলছে।