উলফা নেতা দৃষ্টি রাজখোয়ার আত্মসমর্পণ

ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) পরেশ বড়ুয়া নেতৃত্বাধীন অংশের অন্যতম শীর্ষ নেতা দৃষ্টি রাজখোয়া দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন বলে খবর দিয়েছে দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Nov 2020, 02:44 PM
Updated : 12 Nov 2020, 02:44 PM

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, উলফার ডেপুটি কমান্ডার-ইন-চিফ পরেশ বড়ুয়ার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত রাজখোয়াসহ বেশ কয়েকজন উলফা সদস্য বুধবার সন্ধ্যায় মেঘালয়ের গারো পহাড়ে আত্মসমর্পণ করেন। 

৫০ বছর বয়সী রাজখোয়া বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন মেঘালয়, আসাম এবং দক্ষিণ গারো পাহাড় এলাকার বিভিন্ন গুপ্ত ঘাাঁটি থেকে তিন দশকের বেশি সময় ধরে সংগঠনের সশস্ত্র কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ইনডিয়ান এক্সপ্রেস লিখেছে, রাজখোয়ার সঙ্গে আরও চারজন আত্মসমর্পণ করেছেন। একে ৮১ রাইফেল, পিস্তলসহ বেশ কিছু গোলাবারুদও তাদের কাছে পাওয়া গেছে।

এনডিটিভি লিখেছে, সেনা গোয়েন্দারা বেশ কিছুদিন ধরেই রাজখোয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। এক পর্যায়ে রাজখোয়া তাদের বার্তা পাঠান, যেখানে আত্মসমর্পণের আগ্রহের কথা বলেন তিনি।

ওই খবরের ভিত্তিতে বুধবার ভারতের ৬২ নম্বর জাতীয় মহাসড়কের সব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ব্যারিকেড দেয় মেঘালয় পুলিশ। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দুটি গাড়ি থামানো হয়, যার একটিতে রাজখোয়া ছিলেন।

মেঘালয় পুলিশের মহাপরিচালক আর চন্দ্রনাথন পিটিআইকে বলেছেন, রাজখোয়ার আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে গারো পাহাড় এলাকায় দুই দশক ধরে চলা সশস্ত্র সংঘাতের অবসান হবে বলে তারা প্রত্যাশা করছেন। 

আরেক পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে এনডিটিভি লিখেছে, “রাজখোয়ার ওপর প্রচণ্ড চাপ ছিল। অস্ত্রসমর্পণ করা ছাড়া তার আর বিকল্প আসলে ছিল না।”

চলতি বছর রাজখোয়া ও তার দলের সঙ্গে দুই দফা রাজ্য পুলিশের গোলাগুলি হয় এবং দুইবারই তিনি অল্পের জন্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হন বলে ওই পুলিশ কর্মকর্তার ভাষ্য। 

রাজখোয়ার আসল নাম মনোজ রাভা, বাড়ি আসামের গোয়ালপাড়ায়। তাকে মেঘালয় থেকে আসামে নিয়ে আসা হয়েছে এবং এখন তিনি সেনা গোয়েন্দাদের হেফাজতে আছেন বলে খবর দিয়েছে এনডিটিভি।

আসামের স্বাধীনতার দাবিতে সশস্ত্র কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসা উলফাকে ১৯৯০ সালে নিষিদ্ধ করে ভারত সরকার। ২০০৪ সালে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে উদ্ধার হওয়া ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়ার মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়।