শনিবার সন্ধ্যার ওই সংঘাতে বেশ কয়েকজন আহত হওয়া ছাড়াও বেশ কয়েকটি অস্থায়ী দোকান ও কুঁড়ের ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
বিষয়টি নিয়ে উভয় রাজ্য সরকারই নয়া দিল্লির দ্বারস্থ হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
মিজোরামের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বসবেন আসাম ও মিজোরামের দুই মুখ্য সচিব।
এই নিয়ে চলতি মাসে দ্বিতীয়বারের মতো সংঘাতে জড়াল ওই দুই রাজ্যের বাসিন্দারা। শনিবার আসামের কাছার জেলার লাইলাপুর গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে মিজোরামের কোলাসিব জেলার ভারিন্তে এলাকার বাসিন্দাদের সংঘর্ষ হয়।
রোববার কোলাসিব জেলার ডেপুটি কমিশনার এইচ লালথাংলিয়ানা জানিয়েছেন, সংঘর্ষে মিজোরামের তিন বাসিন্দা আহত হয়েছেন।
“একজন সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন,” ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন তিনি।
তিনি জানান, লাইলাপুরের কিছু লোক সীমান্তের কাছে মোতায়েন করা মিজোরামের পুলিশ ও ওই এলাকার বাসিন্দাদের ওপর পাথর ছোড়া শুরু করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এক পর্যায়ে মিজোরামের লোকজন জড়ো হয়ে লাইলাপুরের লোকজনকে ধাওয়া দেয়, এরপর দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
লালথাংলিয়ানা বলেন, “কিছু এলাকায় আসাম-মিজোরাম সীমান্ত চিহ্নিত করা নেই। কয়েক বছর আগে দুই রাজ্যের সরকারের মধ্যে হওয়া সমঝোতা অনুযায়ী, সীমান্ত এলাকার ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’ এলাকাগুলোয় স্থিতাবস্থা বজায় থাকার কথা। কিন্তু লাইলাপুরের লোকজন স্থিতাবস্থা লঙ্ঘন করে সেখানে কিছু অস্থায়ী কুঁড়েঘর তৈরি করে। মিজোরামের লোকজন সেগুলো আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়।”
একই দিন আসামের কাছাড়ের পুলিশ সুপার বিএল মীনা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, “উত্তেজনা এখনও বিরাজ করছে, কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আসামের দিকে একজন আহত হয়েছেন। কেউ মারা না গেলেও সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন গুজব ছড়ানো হচ্ছে।”
রোববার আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল বিষয়টি নিয়ে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথঙ্গার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।
পরে এক বিবৃতিতে সোনোয়াল বলেছেন, সীমান্ত নিয়ে দুই পক্ষের মতপাথ্যর্ক থাকতে পারে কিন্তু অবশ্যই তা আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে হবে।