দিল্লির দাঙ্গা: ছাত্রনেতা উমর খালিদ গ্রেপ্তার

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লির দাঙ্গার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতের একজন ছাত্রনেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Sept 2020, 11:11 AM
Updated : 14 Sept 2020, 11:19 AM

গ্রেপ্তার উমর খালিদ ওই দাঙ্গার একজন ‘প্রধান ষড়যন্ত্রকারী’ ছিলেন বলে অভিযোগ করেছে দিল্লি পুলিশ।

বিবিসি জানিয়েছে, উমর খালিদ দিল্লির দাঙ্গার ঘটনায় গ্রেপ্তার বেশ কয়েকজন খ্যাতনামা অধিকার আন্দোলন কর্মী ও ছাত্রনেতাদের একজন।

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, অনেক অধিকার আন্দোলন কর্মীকেই অন্যায়ভাবে দাঙ্গার ঘটনায় জড়ানো হচ্ছে, তাদের অধিকাংশই মুসলিম। পুলিশ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে (সিএএ) কেন্দ্র করে ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছিল। সিএএ বিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনটির পক্ষে থাকা লোকজনের বিরোধ থেকেই দাঙ্গার সূত্রপাত হয়।

গত বছর আইনটি পাশ হওয়ার পর থেকেই এর বিরুদ্ধে ভারতজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়। বহু সমালোচক আইনটিকে মুসলিম বিরোধী বলে চিহ্নিত করেছেন।

এই আইন-বিরোধী একটি প্রতিবাদ সমাবেশকে কেন্দ্র করেই দিল্লিতে প্রথম সহিংসতার ঘটনা ঘটে, দ্রুতই তা ধর্মীয় সহিংসতার রূপ নেয়। তিন দিন ধরে চলা এ দাঙ্গায় ৫০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়।

দাঙ্গায় নির্বিচারে মুসলিমদের লক্ষ্যস্থল করা হয়েছে বলে সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠী অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। 

ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন আন্দোলন কর্মী ও শিক্ষাবিদ একটি বিবৃতি দিয়ে উমর খালিদকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তারা বলেছেন, “এই গ্রেপ্তারের পর আমাদের বলতে আর দ্বিধা নেই যে এই তদন্ত সহিংসতা সম্পর্কিত নয়, সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভে সারা দেশজুড়ে যে হাজার হাজার কণ্ঠস্বর শান্তিপূর্ণ, অহিংস ও গণতান্ত্রিক পথে সংবিধানের পক্ষে কথা বলেছে খালেদ তাদের অন্যতম।”

আন্দোলনকারী গোষ্ঠী ‘ইউনাইটেড অ্যাগেইনস্ট হেট (ইউএএইচ), খালিদও যার সদস্য, বলেছে, “দিল্লি পুলিশকে অবশ্যই খালিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।”

এর আগে ‘দেশদ্রোহের’ দায়ে ২০১৬ সালে ভারতের আরেক ছাত্রনেতা জওহরলাল ইউনিভার্সিটি ছাত্র সংসদের তৎকালীন সভাপতি কানহাইয়া কুমার ও অন্যান্যদের সঙ্গে খালিদকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

দুই ছাত্রনেতাই তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন, পরে তারা জামিনে মুক্তি পান।     

আরও পড়ুন: