চীন সীমান্তে নিখোঁজ অরুণাচলের ৫ তরুণকে ফেরত পেল ভারত

চলতি মাসের প্রথমদিকে তিব্বতের সীমান্ত এলাকা থেকে আটক অরুণাচলের পাঁচ তরুণকে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে চীন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Sept 2020, 12:48 PM
Updated : 12 Sept 2020, 12:48 PM

শনিবার সকালে তাদের ফেরত দেওয়া হয় বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এর আগে একই দিন চীনের দৈনিক গ্লোবাল টাইমসের এক প্রতিবেদনে চীন ভারতের ওই নাগরিকদের মুক্তি দিবে বলে অনামা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে ওই পাঁচ ভারতীয়কে শিকারির ছদ্মবেশে থাকা গোয়েন্দা এজেন্ট বলে অভিহিত করা হয়েছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিন পর তাদের ফেরত দেওয়া হয়।

ওই তরুণদের ফিরিয়ে দেবে, শুক্রবার চীনের গণমুক্তি ফৌজ (পিএলএ) এমন ইঙ্গিত দিয়েছিল বলে ভারতের কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেণ রিজিজু জানিয়েছিলেন।

তীব্বতের সীমান্তবর্তী অরুণাচল প্রদেশ থেকে পাঁচ তরুণ নিখোঁজ হয়েছে, গণমাধ্যমে এমন খবর আসার কয়েকদিন পর পিএলএ তাদের চীনের ভিতরে পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করে- এমনটি জানিয়েছিলেন রিজিজু।

চীনের ভূখণ্ডেই ওই পাঁচ তরুণকে হস্তান্তরিত করা হয়েছে বলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সূত্র আনন্দবাজারকে জানিয়েছে।

অরুণচলের আনজ জেলার কিবিথু পোস্ট দিয়ে তাদের ভারতে আসার করার কথা বলে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। 

এদের অরুণাচলের আপার সুবনসিরির পাঁচ শিকার বলে দাবি করেছেন ভারতের সেনাবাহিনী। এই শিকারিরা ২ সেপ্টেম্বর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে চীনের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছিল বলে এক টুইটে জানিয়েছে তারা।

আনন্দবাজার জানিয়েছে, সেনাবাহিনী ওই তরুণদের ‘শিকারি’ বলে দাবি করলেও তাদের পরিবার জানিয়েছে, তারা কুলির কাজ করেন।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্ত এলাকার অনেকেই অস্থায়ীভাবে সেনাবাহিনী ও ইন্দো-তিব্বতি সীমান্ত পুলিশ (আইপিবিপি) এর কুলি হিসেবে কাজ করেন, ওই কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর তারা আরও উচ্চতায় শিকার বা ভেষজ ওষুধ সংগ্রহ করতে যান যেগুলো স্থানীয় বাজারে চড়া দামে বিক্রি হয়।

মনে করা হচ্ছে, ‘গুম্বা’ নামের ওই ভেষজের খোঁজ করার কোনো এক পর্যায়ে ওই পাঁচ তরুণ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে চীনের এলাকায় ঢুকে পড়েন।  

জুনে লাখাদ সীমান্তে চীন ও ভারতের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ে আছে। ওই সংঘর্ষে চীনেরও অজ্ঞাত সংখ্যক সেনা হতাহত হয়েছে বলে গণমাধ্যমের খবর।

যে সময় অরুণাচলের ওই তরুণরা নিখোঁজ হন, ওই একই সময় লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনের বাহিনী প্রায় মুখোমুখি সংঘর্ষে জাড়িয়ে পড়েছিল। আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার না করার দীর্ঘদিনের সীমান্ত প্রটোকল লঙ্ঘন করে ওই সময় উভয়পক্ষই শূন্যে গুলি ছুড়েছিল। এর জন্য পরস্পরকে দায়ী করে বিবৃতিও দিয়েছিল বেইজিং ও নয়া দিল্লি।

বৃহস্পতিবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে চীনের স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ই ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের মধ্যে বৈঠকে সীমান্ত উত্তেজনা হ্রাসে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

আরও পড়ুন: