লাদাখ সীমান্তে মুখোমুখি চীন ও ভারতের সেনারা

দুই পক্ষের সমঝোতা অনুযায়ী প্রায় ৪৫ বছর ধরে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ থাকলেও সম্প্রতি প্রথমবারের মতো লাদাখ সীমান্তে গুলি ছোড়া হয়েছে, তারপর থেকে সেখানে ভারতীয় ও চীনা বাহিনী পরস্পর মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে আছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Sept 2020, 09:06 AM
Updated : 10 Sept 2020, 09:06 AM

বুধবার পক্ষ দুটি ওই সীমান্তে মাত্র কয়েকশত মিটার দূরে অবস্থান করছিল বলে ভারতীয় কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।  

সোমবার শূন্যে গুলিবর্ষণের ওই ঘটনার জন্য পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশ দুটি একে অপরকে দায়ী করেছে। এই গুলিবর্ষণের ঘটনায় অনির্ধারিত ওই সীমান্তে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার না করার প্রটোকলের লঙ্ঘন ঘটে।

লাদাখ সীমান্তের প্যাংগং সো হ্রদের দক্ষিণ পাশের অন্তত চারটি স্থানে ভারত ও চীনের সেনারা খুব কাছাকাছি অবস্থান নিয়ে আছে বলে নয়া দিল্লির একজন সরকারি কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন। উভয় দেশই এই হ্রদের মালিকানা দাবি করে আসছে।  

“পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ, তবে উভয় বাহিনীই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার নিজ নিজ পাশে অবস্থান করছে,” বলেছেন তিনি।   

নয়া দিল্লির আরেক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রেজাং লা গিরিপথের কাছে একটি অগ্রবর্তী অবস্থানে ভারত ও চীনের বাহিনী মাত্র ২০০ মিটারের মতো দূরত্বে অবস্থান নিয়ে আছে।

দুই কর্মকর্তার কেউ নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।  

সোমবার ভারতের সামরিক বাহিনী জানিয়েছিল, ভারতীয় একটি অবস্থানের দিকে এগিয়ে আসার চেষ্টাকালে চীনের সেনারা শূন্যে গুলি ছুড়েছে। কিন্তু চীন বলেছে, একটি টহল চলাকালে চীনের সীমান্ত রক্ষীদের হুমকি দিতে ভারতের সেনারাই শূন্যে গুলি ছুড়েছে।  

সোমবার প্যাংগং সো হ্রদের দক্ষিণ পাশের এলাকাগুলো থেকে তোলা কিছু ছবি রয়টার্সকে দেখিয়েছেন দিল্লির কর্মকর্তারা। ওই ছবিতে চীনের প্রায় দুই ডজন সেনাকে অ্যাসল্ট রাইফেল পিঠে ঝুলিয়ে লম্বা খুঁটির সঙ্গে আটকানো বাঁকা ধারালো ফলক হাতে দেখা গেছে। তবে রয়টার্স এই ছবিগুলোর সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি বলে জানিয়েছে।

প্যাংগং সো হ্রদের দক্ষিণ দিকে ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ তুষার আবৃত একটি নির্জন এলাকায় এশিয়ার দুই মহাশক্তি পরস্পরের মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে আছে। সেখানকার উপত্যকা ও পাহাড়গুলোতে ভারতের প্রায় তিন হাজার সেনা অবস্থান নিয়ে আছে বলে নয়া দিল্লির ওই দুই কর্মকর্তার মধ্যে প্রথমজন জানিয়েছেন।

নিজেদের অংশে পড়েছে, ভারতের এমন মনে করা একটি পাহাড় চূঁড়া চীনের সেনারা দখল করার উদ্যোগ নিচ্ছে- চীনের সেনাদের গতিবিধি থেকে এমন ধারণা করে তাদের বাঁধা দিয়ে ওই চূঁড়াটি নিজেদের দখলে রাখতে সেনা পাঠায় নয়া দিল্লি; গত মাসের শেষ দিকে ঘটা এ ঘটনার পর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বলে ভাষ্য ভারতীয় এক কর্মকর্তার।  

আরও পড়ুন: