রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে জালালাবাদের একটি কারাগারের প্রবেশপথে জঙ্গিরা গাড়িবোমা হামলা চালানোর পর এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
গাড়িবোমা বিস্ফোরিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইএস জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে; এসময় আরও কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
হামলায় আইএসের ৩০ সদস্য অংশ নেয় বলে নানগারহার প্রদেশের রাজধানীর সাংসদ সোহরাব কাদেরি জানিয়েছেন।
জালালাবাদের ওই কারাগারে আটকে রাখা বন্দির সংখ্যা প্রায় দুই হাজারের মতো ছিল। আইএসের হামলার পর বন্দিদের অনেকে পালিয়ে গেলেও সোমবার দুপুরের মধ্যে পুলিশ হাজারখানেক বন্দিকে ফের আটক করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও এখনও কতজন পলাতক. কাদেরি তা বলতে পারেননি।
“পুরো জালালাবাদ শহরেই কারফিউ দেওয়া হয়েছে, দোকানপাট সব বন্ধ। জালালাবাদ এখন সম্পূর্ণ ফাঁকা,” বলেছেন তিনি।
জঙ্গিদের হামলার পরপরই ঘটনাস্থলে আফগান বিশেষ বাহিনীগুলোকে মোতায়েন করা হয়। সংঘর্ষে অন্তত তিন জঙ্গি এবং বেসামরিক ও আফগান বাহিনীর আরও ২১ জন নিহত হয়েছে বলে প্রাদেশিক গভর্নরের মুখপাত্র আতাউল্লাহ খুগানি নিশ্চিত করেছেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, কারাগারের প্রবেশপথে গাড়িবোমা বিস্ফোরণের কিছু সময় পরই আইএস হামলার দায় স্বীকার করে নেয়।
নিরাপত্তা বাহিনী নানগারহার প্রদেশের রাজধানী জালালাবাদের কাছে জঙ্গি গোষ্ঠীটির এক ঊর্ধ্বতন কমান্ডারকে হত্যা করেছে, আফগান গোয়েন্দা সংস্থার এ বিবৃতির একদিন পরই আইএস এ হামলা চালাল।
কাবুলের ১৩০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত জালালাবাদের পাশের মহাসড়ক দিয়েই খাইবার পাস ও পাকিস্তানের পেশোয়ার যাওয়া যায়।
আফগানিস্তানে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইএসের তৎপরতা বেড়েছে। দেশটিতে এখনও জঙ্গি গোষ্ঠীটির প্রায় দুই হাজার ২০০ সদস্য সক্রিয় বলে গত মাসে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে ধারণা দেওয়া হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক এ জঙ্গিরা সাম্প্রতিক কিছু লড়াইয়ে আফগানিস্তানে তাদের দখলে থাকা ভূমি হারালেও দেশটিতে এখনও তারা বড় ধরনের হামলার সক্ষমতা রাখে, বলা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।