এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগে ওই এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলেও শনিবার জানিয়েছেন তারা।
রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ২০০ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমের জেলা মিয়াগদিতে ২০ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি ১৩ জনেরও বেশি নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানান জেলা প্রশাসক জ্ঞান নাথ ধকাল।
শুক্রবার এখানে বেশ কয়েকটি বাড়িও ধসে পড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
“মিয়াগদিতে নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধারকারীরা কাজ করে যাচ্ছেন। ভূমিধসে আহত ১১ জনকে কাছাকাছি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে,” বলেছেন ধকাল।
হেলিকপ্টারে করে দুর্গত এলাকার অর্ধশতাধিক লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মিয়াগদির প্রতিবেশী কাসকা জেলায় আরও সাত জন নিহত হয়েছেন বলে পর্যটন শহর পোখরা থেকে জানিয়েছেন আরেক সরকারি কর্মকর্তা।
দূর পশ্চিমের জাজারকোট জেলায় আরও সাত জনের মৃত্যু হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
“এখনো নিখোঁজ আট ব্যক্তির সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছি আমরা,” বলেন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা কিশোর শ্রেষ্ঠা।
সিন্ধুপালচক, লামজুং ও গুলমি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আরও ৬টি মৃতদেহ।
ভারত সীমান্ত সংলগ্ন নেপালের দক্ষিণাঞ্চলীয় সমভূমিতে কোশি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই কোশি নদীর কারণে প্রায় প্রতিবছরই বিহারে বন্যা হয় বলে রয়টার্স জানিয়েছে ।
জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টির মওসুমে পর্বতময় দেশ নেপালে নিয়মিতই ভূমিধস ও হঠাৎ বন্যার ঘটনা ঘটে থাকে।