মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব বিধিসহ খুলছে তাজমহল

করোনাভাইরাস শাটডাউনে দীর্ঘ তিন মাস বন্ধ থাকার পর কঠোর স্বাস্থ্যবিধি আরোপ করে ফের খুলে দেওয়া হচ্ছে ভারতের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ তাজমহল।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 July 2020, 10:58 AM
Updated : 5 July 2020, 11:15 AM

আগ্রার সপ্তদশ শতকের এই মোগল স্থাপত্যটির দরজা সোমবার দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

কিন্তু দর্শনার্থীদের অবশ্যই সর্বক্ষণ মাস্ক পরে থাকতে হবে, পরস্পরের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং তাজমহলের চকচকে মার্বেল পাথরের পৃষ্ঠে হাত রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে।

দৈনিক মাত্র পাঁচ হাজার দর্শনার্থীকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। এদের দুই দলে ভাগ করে ঢুকতে দেওয়া হবে। স্বাভাবিক সময়ে পর্যটনের সর্বোচ্চ মরশুমে তাজমহল দেখতে দৈনিক প্রায় ৮০ হাজার লোক জড়ো হয়, সেই তুলনায় এ সংখ্যা অনেক কম।

২২ বছরের নির্মাণ কাজের মধ্যে দিয়ে মোগল সম্রাট শাহজাহান মৃত স্ত্রীর সমাধি হিসেবে এ স্মৃতিসৌধ গড়ে তুলেছিলেন, যার নান্দনিক সৌন্দর্য আজও মানুষকে বিমোহিত করে। 

“কেন্দ্রীয়ভাবে সুরক্ষিত সব স্মৃতিস্তম্ভ ও স্থাপনাতে স্যানিটাইজেশন, সামাজিক দূরত্ব ও অন্যান্য স্বাস্থ্য বিধি পালন বাধ্যতামূলক হবে,” এক টুইটে বলেছে ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়।   

কর্তৃপক্ষ তাজমহলের পাশাপাশি নয়া দিল্লির ঐতিহাসিক লাল কেল্লাসহ অন্যান্য স্থাপনাগুলো খুলে দিচ্ছে। তিন মাসের মধ্যে যখন ভারতে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বাড়ছে তখনই কর্তৃপক্ষ এসব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে মন্তব্য রয়টার্সের।

রোববার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একদিনে আরও ২৪ হাজার ৮৫০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে। এটি ভারতে একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণের নতুন রেকর্ড। এতে দেশটিতে শনাক্ত মোট করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ৭৩ হাজার ১৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

এভাবে পরপর দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে ভারত বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যায় তৃতীয় স্থানে থাকা রাশিয়ার অনেকটা কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। একই দিন রাশিয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ৮০ হাজার ২৮৩ জন ছিল বলে জানিয়েছে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়।

ভারতের উত্তর প্রদেশের শহরগুলোর মধ্যে আগ্রাতেই করোনাভাইরাস আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি। তাজমহলের আশপাশের সবগুলো আবাসিক এলাকাই কঠোর লকডাউনের মধ্যে আছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জেলা প্রশাসনের পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা।