সোমবার রাতে বন্দর শহর বিশাখাপত্তনমের পারওয়ারা এলাকায় সেইনর লাইফ সায়েন্সেস এর একটি ইউনিট থেকে গ্যাস লিক করা শুরু করে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, গ্যাস লিক করার সঙ্গে সঙ্গে কারখানাটির কর্মীরা সতর্ক হয়ে পুলিশকে খবর দেন।
এখন পরিস্থিতি ‘নিয়ন্ত্রণে’ আছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় রাত প্রায় সাড়ে ১১টার দিকে বেনজিমিডাজোল গ্যাস লিকের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পারওয়ারা এলাকাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আগের ঘটনার অভিজ্ঞতা থেকে পূর্ব সতর্কতামূলক এ পদক্ষেপ নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উদয় কুমার।
পুলিশ ও দমকল বাহিনী গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করে। পুরো কারাখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
“পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। যে দুই ব্যক্তি মারা গেছে আর যারা অসুস্থ হয়েছে তারা কারখানাটির কর্মী ছিল, সে সময় তারা ঘটনাস্থলেই ছিল। কর্মীরা সতর্ক হওয়াতে নির্গত গ্যাস আর কোথাও ছড়ায়নি,” উদয় কুমার এমনটি বলেছেন বলে উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএনআই।
ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করছে পুলিশ। কারও দায়িত্বে অবহেলার কারণে ঘটনা ঘটেছে কি না, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন চেয়ে পাঠিয়েছেন বলে তার দপ্তর জানিয়েছে।
মাত্র দুই মাস আগে ভারতজুড়ে লকডাউন চলাকালে বিশাখাপত্তনমে এলজি পলিমারের একটি বন্ধ থাকা রাসায়নিক কারখানা থেকে গ্যাস লিক করেছিল। তাতে দুই শিশুসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল আর অসুস্থ হয়ে পড়েছিল এক হাজার জনেরও বেশি মানুষ।