কোভিড-১৯ সংক্রমণ মোকাবেলায় রাজ্যজুড়ে দেয়া বিধিনিষেধ অমান্য করে নির্ধারিত সময়ের পরেও দোকান খোলা রাখার দায়ে গত ১৯ জুন পুলিশ ৫৮ বছর বয়সী পি জয়রাজ ও তার ৩৮ বছর বয়সী ছেলে ফেনিক্সকে গ্রেপ্তার করেছিল।
রাতভর পুলিশ হেফাজতে রেখে পরদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
এর দুইদিন পর মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পিতা-পুত্রের মৃত্যু হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
পুলিশ হেফাজতে ভয়াবহ নির্যাতনের কারণেই জয়রাজ ও ফেনিক্সের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজনদের।
বিরোধী সাংসদরা এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন; ব্যবসায়ীদের একটি প্রভাবশালী সংগঠন পুলিশের বর্বরতার নিন্দা জানিয়েছে, স্থানীয় আদালত পুলিশ হেফাজতে জয়রাজ-ফেনিক্সকে নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে।
যে পুলিশ সদস্যরা এ দু’জনকে আটক করেছিল, তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে; তামিল নাডু সরকার নিহতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
জয়রাজ-ফেনিক্সের মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যবহারকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ না আনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করেছেন অনেকে।
পুলিশ হেফাজতে ‘রাতভর নির্যাতনে’ পিতা-পুত্রের মৃত্যুর ঘটনার বিচার চেয়ে ও পুলিশ সদস্যদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে টুইট করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানও।
“তামিল নাডুতে জয়রাজ ও ফেনিক্সের উপর বর্বর নির্যাতনের কথা শুনে স্তম্ভিত হয়ে পড়েছি। আমাদের অবশ্যই আওয়াজ তুলতে হবে, এবং পরিবারটির জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে,” বলেছেন ধাওয়ান।