সীমান্তে চীনের বিপুল সেনা মোতায়েনে চুক্তির লংঘন: ভারত

লাদাখ সীমান্তে বিপুল পরিমাণ সেনা ও অস্ত্রশস্ত্র মোতায়েন করে চীন কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও সমঝোতার লংঘন করেছে বলে নয়া দিল্লি অভিযোগ করেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 June 2020, 06:29 AM
Updated : 26 June 2020, 06:29 AM

বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং কয়েকদিন আগের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উসকানি দেয়ারও দায় দিয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

“এ ঘটনার কেন্দ্রে রয়েছে মে মাসের শুরু থেকে লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) বরাবর চীনের বিপুল পরিমাণ সৈন্য সমাবেশ ও অস্ত্রশস্ত্র মোতায়েন। এটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তিগুলোর বিধিবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়,” নয়া দিল্লিতে এক ব্রিফিংয়ে এমনটাই বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্র্রণালয়ের মুখাপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব।

তিনি ভারত-চীনের মধ্যে হওয়া ১৯৯৩ সালের চুক্তির কথাও টানেন। ওই চুক্তিতে এলএসির আশপাশে উভয় দেশ স্বল্প পরিমাণ সৈন্য রাখবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

দীর্ঘ লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাা ঘিরে দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে বিরোধ থাকলেও পাঁচ দশকে লাদাখ সীমান্তে কখনোই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি।

সম্প্রতি গালওয়ান উপত্যকা ঘিরে দুই দেশের সেনাবাহিনীকে রণসজ্জায় দেখা যাচ্ছে। চলতি মাসের মাঝামাঝি দুই পক্ষের পাথর ছোড়াছুড়ি ও পেরেক লাগানো রডের মারামারিতে অন্তত ২০ ভারতীয় সেনা নিহত ও ৭৬ জন আহত হয়েছে বলে নয়া দিল্লির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

সংঘর্ষে চীনের কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জানা যায়নি।

১৫ জুনের ওই সংঘর্ষের জন্য বেইজিং শুরু থেকেই নয়া দিল্লিকে দোষারোপ করে আসছে। ভারতীয় সেনারাই প্রথমে চীনা সেনাদের উপর হামলা চালিয়েছিল বলেও দাবি তাদের।  

সীমান্তে চীনের বিপুল সেনা উপস্থিতির পাল্টায় ভারতও লাদাখে অতিরিক্ত সেনা মোতয়েন করেছিল বলে জানান শ্রীবাস্তব।

রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ভারত ও চীনা কমান্ডারদের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠকের পর উত্তেজনা নিরসনে দুই পক্ষই সীমান্ত এলাকা থেকে পিছু হটার আশ্বাস দিলেও সম্প্রতি উপগ্রহের ছবিতে সংঘর্ষস্থলের কাছে চীনের নতুন স্থাপনা নির্মাণের চিত্র ধরা পড়েছে।