করোনাভাইরাস: ভারতে একদিনেই প্রায় ১৭ হাজার রোগী শনাক্ত

নতুন করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে দেয়া কঠোর লকডাউন শিথিল করার পর থেকে ভারতে শনাক্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2020, 08:08 AM
Updated : 25 June 2020, 08:46 AM

বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ১৬ হাজার ৯৯২ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এ নিয়ে ভারতে সরকারি হিসাবে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ৭৩ হাজার ১০৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

শনাক্ত রোগী বিবেচনায় দেশটির অবস্থান এখন বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ। ভারতের উপরে আছে কেবল যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও রাশিয়া।

ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকেই শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র রাজ্য। এখানে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক লাখ ৪২ হাজার ৯০০ জন।

আক্রান্তের সংখ্যায় এরমধ্যে তামিলনাডুকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে রাজধানী দিল্লি। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ হাজার ৩৯০ জন। তামিলনাডুতে ৬৭ হাজার ৪৬৮ জন।

দেশটির মোট করোনাভাইরাস আক্রান্তের ৬০ শতাংশই এই তিনটি রাজ্যে।  

কেবল আক্রান্তের সংখ্যাই নয়, করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হারও বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, একদিনে আরও ৪১৮ মৃত্যু নিয়ে দেশটিতে এখন কোভিড-১৯ এ মৃতের সংখ্যা ১৪ হাজার ৮৯৪ জন।

সংক্রমণের ‘হটস্পট’ মহারাষ্ট্র রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ছয় হাজারের বেশি মানুষের। দিল্লিতেও ভাইরাসটি দুই হাজার তিনশরও বেশি মানুষের প্রাণ নিয়েছে।

দেশটির কর্মকর্তারা সংক্রমণের মাত্রা ও মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন হলেও সুস্থতার হার তাদের স্বস্তি দিচ্ছে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ভারতে দুই লাখ ৭১ হাজার ৬৯৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন; এই সংখ্যা দেশটির সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যার চেয়েও বেশি।

পশ্চিমবঙ্গে এক দিনে আরও ৪৪৫ জনের দেহে নতুন করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার। এতে রাজ্যটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে।

সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকায় এ রাজ্যে লকডাউনের মেয়াদ ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ সময় পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, লোকাল ট্রেন ও মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকবে।

পশ্চিমবঙ্গে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ৫৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে।