মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, “তারা (পাকিস্তান) গুপ্তচরবৃত্তির কাজে লিপ্ত রয়েছে এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সঙ্গে লেনদেন বজায় রেখে চলেছে।”
এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তাদের দূতাবাস কর্মীরা আইন মেনেই দায়িত্বপালন করছিল, তারপরও নয়া দিল্লি এমন ব্যবস্থা নেওয়ায় তারাও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ভারতের ইসলামাবাদ দূতাবাসের অর্ধেক কর্মীকে বহিষ্কার করবে।
এর আগে ভারত জানিয়েছিল, তারা স্বেচ্ছায় ইসলামাবাদ দূতাবাসের অর্ধেক কর্মী হ্রাস করবে।
উভয় দেশই জানিয়েছে, পরস্পরের দূতাবাসের এসব কর্মীকে এক সপ্তাহের মধ্যে দেশ ছাড়তে বলবে তারা।
৩১ মে পাকিস্তানের দুই কূটনীতিককে বহিষ্কার করে ভারত। গুপ্তচরবৃত্তির কারণে তাদের আটক করা হয়েছিল বলে জানায় নয়া দিল্লি। কিন্তু নয়া দিল্লির এসব্ অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দেয় ইসলামাবাদ।
এরপর থেকেই পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে শত্রুতার সর্বসাম্প্রতিক পর্বটি শুরু হয়। স্বাধীনতার পর থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী এই দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে আর পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কারও প্রায় নিয়মিত ঘটনা। অধিকাংশ সময়ই এসব বহিষ্কারের পেছনে থাকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ।
দুই দেশে কোনো দেশেরই স্থায়ী রাষ্ট্রদূত নেই। গত মাসে উভয় দেশই পরস্পরের বিরুদ্ধে তাদের কূটনীতিকদের অবৈধভাবে আটক ও নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিল।
গত মাসে ভারতীয় পুলিশ পাকিস্তানের এক জেলের একটি কবুতরকে মুক্তি দেয়। কবুতরটি পাকিস্তান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়েছিল। কবুতরটিকে আটকের পর সেটিকে চর হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে না, তদন্তে এমনটি নিশ্চিত হওয়ার পরই কেবল গৃহপালিত পাখিটিকে মুক্তি দেওয়া হয়।