জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পাকিস্তানে ৮৯ হাজার ২৪৯ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। একই সময়ে চীনের সরকারি হিসাবে দেশটিতে মোট কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ছিল ৮৪ হাজার ১৭১।
বিধিনিষেধ শিথিলের পর প্রতিবেশী দেশগুলোর মতো পাকিস্তানেও নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
বৃহস্পতিবারে দেশটিতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত ৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ডন।
সব মিলিয়ে পাকিস্তানে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮১৬তে।
এর মধ্যে পাঞ্জাবেই সবচেয়ে বেশি ৬০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিন্ধু ও খাইবার পাখতুনখোয়াতে মৃত্যু ৫০০র ঘর ছাড়িয়ে গেছে।
আক্রান্ত-মৃত্যুর সংখ্যায় পাকিস্তানের চেয়ে ঢের এগিয়ে প্রতিবেশী ভারত। দেশটিতে কোভিড-১৯ এ শনাক্ত আক্রান্তের সংখ্যা সোয়া দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে; মৃত্যু ৬ হাজার পেরিয়ে ছুটছে ৭ হাজারের দিকে।
বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে রেকর্ড ৯ হাজার ৮৫১ জনের দেহে প্রাণঘাতী ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে; ওই একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ২৭৩ জনের।
মোট দুই লাখ ২৬ হাজার ৭৭০ আক্রান্তের মধ্যে এক লাখ ৯ হাজার ৪৬২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলেও ভারতের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। শনাক্তদের মধ্যে আক্রান্ত তুলনায় সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮ দশমিক ২৭ শতাংশে।