আম্পানে বিপর্যস্ত কলকাতায় কালবৈশাখীর তাণ্ডব

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্পান আঘাত হানার ঠিক এক সপ্তাহ পর প্রবল একটি কালবৈশাখী ঝড় কলকাতায় তাণ্ডব চালিয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 May 2020, 08:15 AM
Updated : 28 May 2020, 08:15 AM

ঘণ্টায় ৯৬ কিলোমিটার বেগের বাতাস নিয়ে বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ২৩ মিনিটে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানীতে ঝড়টি আছড়ে পড়ে, যার তাণ্ডবে অসংখ্য গাছ উপড়ে পড়ার পাশাপাশি অনেকগুলো গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

আচমকা আঘাত হানা এ ঝড়ের সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি, বজ্রপাত ও ‍বিদ্যুৎচমকও ছিল। তীব্র বাতাসের ঝাপটায় পুরনো কয়েকটি বাড়ি ধসে পড়ার ঝুঁকির মুখে পড়েছিল। 

ঠিক এক সপ্তাহ আগে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৭ মিনিটে ঘূর্ণিঝড় আম্পান ১১৪ কিলোমিটার বেগের বাতাস নিয়ে শহরটিতে আছড়ে পড়েছিল। এর ১০ মিনিটের মধ্যে বাতাসের বেগ বেড়ে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার দাঁড়ায় যা পরে আরও শক্তিশালী হয়ে সর্বোচ্চ ১৩৩ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠেছিল।

তবে সাইক্লোন আম্পান যেখানে স্থায়ী হয়েছিল চার ঘণ্টার মতো, সেখানে কালবৈশাখী এ ঝড়টির দৌরাত্ম ছিল ৩০ মিনিটেরও কম।

২৫ মার্চ ভারতজুড়ে লকডাউন শুরু হওয়ার পর বুধবার পশ্চিমবঙ্গের রাজধানীর রাস্তাগুলোতে সবচেয়ে বেশি মানুষের উপস্থিতি ছিল। এদের অনেকেই ঝড়ের তাণ্ডবের মধ্যে আটকা পড়েন। 

এনডিটিভি বলছে, বছরের এ সময়ে কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাত হানার বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তা থাকলেও কেউই ঘণ্টায় ৯৬ কিলোমিটার বেগের ঝড়ো হাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল না।

যে দোকানগুলো খোলা ছিল ঝড় শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো দ্রুত বন্ধ হয়ে যায়, বাড়ি ফেরার বাস ধরতে যাত্রীদেরকে প্রাণপণে ছুটতে দেখা যায়।

কেবল কলকাতাই নয়, ঝড়ের তীব্রতায় পুরুলিয়া, বাঁকুরা, পশ্চিম মেদেনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদেনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং হাওড়ায়ও ক্ষয়ক্ষতি হয়।

এ ঝড়ে পশ্চিমবঙ্গে মোট দুই জনের মৃত্যুর হয়েছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার। এর মধ্যে হুগলিতে গাছ পড়ে ৪০ বছর বয়সী একজনের মৃত্যু হয়েছে আর কলকাতা থেকে ১৪৭ কিলোমিটার দূরে দুর্গাপুরে বজ্রপাতে মারা গেছেন একই বয়সী আরেকজন।

পরবর্তী কয়েকদিনেও পশ্চিমবঙ্গে এরকম হুটহাট কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন আলিপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা গণেশ কুমার দাস।