গত মাসে লোকমান্য তিলক মিউনিসিপ্যাল জেনারেল হাসপাতালে ভাইরাস আক্রান্ত ওই মায়েদের ১১৫টি শিশু জন্ম নেয়।
প্রাথমিকভাবে এই শিশুদের ৩ জনের দেহে কোভিড-১৯ ধরা পড়লেও পরে ফল নেগেটিভ আসায় তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এছাড়া, হাসপাতালটিতে ভাইরাস আক্রান্ত দুই গর্ভবতী নারী মারাও গেছেন। এর মধ্যে সন্তান জন্ম দেওয়ার আগেই একজনের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ভারতের মুম্বাইয়ে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজারের কাছাকাছি। মারা গেছে ৮৪০ জনেরও বেশি মানুষ।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মুম্বাইয়ের ওই হাসপাতালটি সিওন হাসপাতাল নামেও পরিচিত। সেখানে আক্রান্ত মায়েদের অর্ধেকের বেশি শিশুরই জন্ম হয়েছে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে। বাকিদের জন্ম হয়েছে স্বাভাবিকভাবে। নবজাতকদের ৫৬ জন ছেলে এবং ৫৯ জন মেয়ে।
ভাইরাস আক্রান্ত ২১ জন মা’ কে অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। এসব গর্ভবতী নারী ঘরে, বাইরে, নাকি হাসপাতালের ওয়ার্ডেই ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন তা পরিষ্কার জানা যায়নি।
হাসপাতালটির গাইনোকোলজির প্রধান চিকিৎসক ডা. অরুণ নায়ক বলেন, “ভাল ব্যাপার হচ্ছে, আক্রান্ত বেশিরভাগ গর্ভবতী নারীরই কোন সমস্যা দেখা যায়নি। কারো কারো জ্বর হয়েছে, শ্বাসকষ্ট দেখা গেছে। আমরা তাদের চিকিৎসা করেছি। সন্তান জন্মের পর বাড়িও পাঠিয়ে দিয়েছি।”
তবে অরুণ জানান, করোনাভাইরাস আক্রান্ত মায়েদের মধ্যে প্রচণ্ড উদ্বেগ কাজ করছে। তারা বারবার একথাই বলছেন যে, তারা মরে গেলে যাবেন কিন্তু বাচ্চারা যেন সুস্থ থাকে।
হাসপাতালে সন্তান জন্মের পর মায়েদের এক সপ্তাহের জন্য কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের বিশেষ ওয়ার্ডে রাখা হয়। এ সময় তাদেরকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দেওয়া হয়।
এরপর তাদের ১০ দিন পর্যন্ত আলাদা একটি সেন্টারে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। তবে শিশুদেরকে মায়ের কাছ থেকে আলাদা করা হয় না। ফেসমাস্ক পরেই মায়েরা শিশুদেরকে বুকের দুধ দিতে পারেন।