দিল্লির বেঙ্গলি মার্কেটের ছাদে ৩৫ জনের বসবাস, আক্রান্ত ৩

দিল্লির সুপরিচিত বেঙ্গলি মার্কেট সংশ্লিষ্ট এলাকার তিনজনের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত ও একটি দোকানের ছাদে গাদাগাদি করে থাকা ৩৫ কর্মচারীকে পাওয়ার পর মার্কেটটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 April 2020, 11:02 AM
Updated : 9 April 2020, 11:56 AM

এ ঘটনা ভারতের রাজধানীজুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।

বেঙ্গলি মার্কেটের আগেই করোনাভাইরাসের হটস্পট বিবেচনা করে দিল্লির আরও ২০টি স্থান সিলগালা করা হয়েছিল।

প্রাণঘাতী এ ভাইরাসটির সংক্রমণ কমিয়ে আনতে দেওয়া লকডাউন অমান্য করায় বেঙ্গলি মার্কেটের ওই পেস্ট্রি শপের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে দোকানটির কর্তৃপক্ষ বলেছে, লকডাউন মেনে দোকান বন্ধ থাকলেও কর্মচারীরা যাওয়ার জায়গা না পেয়ে ছাদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল।

পুলিশ বলছে, দোকানটির টেরেসের ওপর যেখানে এই কর্মচারীদের সন্ধান মেলে সেখানকার পরিবেশ ছিল অত্যন্ত অপরিচ্ছন্ন; সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা না মেনে স্বল্প জায়গার মধ্যে এ শ্রমিকরা গাদাগাদি করে ছিলেন।

ওই কর্মচারীদের পরে শেল্টার হোমে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে; এদের মধ্যে দুজনের দেহে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা গেছে।

দিল্লির এ এলাকাটিতে খাবারের দোকান ছাড়াও ৩০০-র বেশি বাড়িঘর আছে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে। সিলগালা করে দেওয়ায় কর্মকর্তারাই এখন ওই বাড়িঘরের বাসিন্দাদের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করবেন।

বেঙ্গলি পেস্ট্রি শপ পরে এক বিবৃতিতে তাদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের অভিযোগকে ‘মানহানিকর’ বলে অভিহিত করেছে।  অভিজাত এ দোকানটি বলছে, তাদের ছাদে মোট তিন দোকানের কর্মচারীরা ছিলেন। লকডাউনের কারণে গ্রামে ফিরতে না পেরেই তারা ছাদে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

“আমাদের দোকান ২৫ মার্চ (সেদিনই লকডাউন ঘোষণা করা হয়) থেকেই বন্ধ। যারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন, লকডাউনের কারণে তারা নিজ নিজ শহরে ফিরতে না পারায় আমাদের স্থাপনায় আশ্রয় নেন। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে তাদের আশ্রয়, খাদ্য ও প্রয়োজনীয় সবই সরবরাহ করা হয়েছে,” বিবৃতিতে বলেছে তারা।

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বুধবার থেকে দিল্লি ও মুম্বাইয়ে ঘরের বাইরে বের হওয়া সবাইকে মুখে বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

“মুখে মাস্ক পরলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে আসে। এ কারণেই ঘরের বাইরে বের হওয়া সবার জন্য মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হল। কাপড়ের মাস্কেও চলবে,” টুইটারে এমনটাই বলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

মহারাষ্ট্র সরকারও মুম্বাইয়ের সীমানার ভেতর ঘরের বাইরে থাকা সবাইকে মুখে তিন স্তরের কিংবা কাপড়ের মাস্ক পরার নির্দেশ দিয়েছে। যারা যারা এ নির্দেশ মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশকে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ভারতে মোট ৫ হাজার ৯১৬ জনের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়; মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭৮ জনে।