সোয়াইন ফ্লুর জন্য দায়ী ভাইরাস এইচওয়ানএনওয়ান সংক্রমিত ১২ জন কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে শনিবার আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, মেটিয়াবুরুজের দুটি পরিবারের ছ’জন ভর্তি হয়েছেন বেলভিউ হাসপাতালে। বুধবার একই পরিবারের দু’জন পুরুষ এবং এক নারী ভর্তি হন।
পরদিন একই পরিবারের বাবা, মা ও সন্তান জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলে নমুনা পরীক্ষায় তাদের সোয়াইন ফ্লু ধরা পড়ে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ওই রোগে আক্রান্ত দু’জনের চিকিৎসা চলছে।
ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেল্থে এক জন এবং মুকুন্দপুর আমরিতে ভর্তি আছেন তিনজন। আমরির তিন জনের মধ্যে এক জন নার্স।
মনিপুরের ওই বাসিন্দা মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি হন। সে-দিন হুগলির ১০ বছরের একটি শিশুও ভর্তি হয়।
আমরি-কর্তৃপক্ষ জানান, ওই তিন জন ছাড়াও গত এক সপ্তাহে বহির্বিভাগে আসা আরও ১০ জনের সোয়াইন ফ্লু পজিটিভ ধরা পড়েছে।
২০০৯ সালে মেক্সিকোতে সোয়াইন ফ্লুর ব্যাপক সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল। এরপর প্রায় মহামারি আকারে এই ফ্লু ছড়িয়ে পড়ে নানা দেশে।
ধারণা করা হয়, ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ২ লাখ মানুষ সোয়াইন ফ্লু'তে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
সোয়াইন ফ্লু সাধারণত হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে থাকলে, তার ব্যবহৃত পাত্রে খাবার খেলে বা ওই ব্যক্তির কাপড় পরলে সংক্রমণ ঘটতে পারে।
সোয়াইন ফ্লু'র উপসর্গ সাধারণ ফ্লু'র মতোই। জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, শরীরে ব্যথা, ঠাণ্ডা ও অবসাদের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট, র্যাশ বা পাতলা পায়খানাও হতে পারে।