কভিড-১৯ রোগে কর্নাটকের এক বৃদ্ধের মৃত্যুর খবর বৃহস্পতিবার এসেছে দেশটির সংবাদ মাধ্যমে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই রোগকে মহামারী ঘোষণা করার পর বুধবার বিদেশিদের প্রবেশ বন্ধে প্রায় সব ধরনের ভিসা স্থগিত করে ভারত, তার পরদিনই দেশটিতে প্রথম মৃত্যুর খবর মিলল।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ও দক্ষিণ এশিয়ায় এটাই করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যু।
ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ৭৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল সোমবার, তখন চিকিৎসকরা তাকে কভিড-১৯ রোগী বলে সন্দেহ করছিলেন।
অ্যাজমার চিকিৎসায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
তিনি যে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন, তা পরীক্ষার পর বৃহস্পতিবার নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়।
মৃত বৃদ্ধকে নিয়ে কর্নাটকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ছয়। ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪।
কর্নাটক রাজ্যের জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সুরেশ শাস্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “ল্যাব পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া গেছে যে কালবুরাগি এলাকা থেকে আসা ওই ব্যক্তি কভিড-১৯ রোগ আক্রান্ত ছিলেন।”
তার সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন, তাদের আলাদা করে ফেলাসহ প্রয়োজনীয় পদেক্ষপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ডা. সুরেশ বলেন, ওই রোগী তেলেঙ্গানা রাজ্যের একটি বেসরকারি হাসপাতালেও চিকিৎসা নিয়েছিলেন।
সেজন্য তেলেঙ্গনা রাজ্য সরকারকেও সতর্ক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বি শ্রীরামুলু।
কর্নাটক রাজ্যে সর্বশেষ বুধবার বিকালে একজন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই যুবক গ্রিস থেকে ফিরেছিলেন।
ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্য সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবার আগেভাগে গ্রীষ্মের ছুটি ঘোষণা করেছে।
ভারতে যে ৭৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে, তার মধ্যে ১৭ জন বিদেশি। আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি কেরালায় ১৭ জন, এরপর রয়েছে হরিয়ানায় ১৪ জন। মহারাষ্ট্রে ১১ জন এবং দিল্লিতে ৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে।
বাংলাদেশ লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের রাজ্যগুলোতে এখনও কোনো কভিড-১৯ রোগী ধরা পড়েনি।