ভারতের খনিতে ৩০০০ টন সোনার মজুদ

ভারতজুড়ে সংরক্ষিত মোট সোনার পাঁচ গুণেরও বেশি সোনার মজুদের সন্ধান পেয়েছে দেশটির ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জিএসআই।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Feb 2020, 11:05 AM
Updated : 22 Feb 2020, 11:34 AM

দেশটির উত্তর প্রদেশ রাজ্যের সোনভাদ্র জেলার মাটির নিচে ১২ লাখ কোটি রুপি মূল্যমানের তিন হাজার টন সোনার মজুদের খোঁজ মিলেছে, জানিয়েছে এনডিটিভি।

সোনভাদ্রর খনি বিষয়ক কর্মকর্তা কে কে রাই শুক্রবার জানান, জেলার সোন পাহাড়ি ও হরদি এলাকায় এসব সোনার খনির সন্ধান মিলেছে।

প্রায় দুই দশক আগে ১৯৯২-৯৩ সালে জিএসআই সোনভাদ্রে সোনার খনির খোঁজে অনুসন্ধান শুরু করেছিল বলে জানান তিনি।

শিগগিরিই ই-টেন্ডারের মাধ্যমে এই খনি দুটিকে নিলামে তোলা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

সোন পাহাড়ি খনিতে প্রায় ২৯৮৩ দশমিক ২৬ টন সোনার মজুদ এবং হারদি ব্লকে ৬৪৬ দশমিক ১৬ কিলোগ্রাম মজুদ রয়েছে বলে হিসাব করেছেন ভূতত্ত্ববিদরা, জানান এ কর্মকর্তা।  

সোনার পাশাপাশি ওই এলাকায় আরও কিছু খনিজও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ওয়াল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (ডব্লিউজিসি) তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে ভারতের মোট সোনার মজুদের পরিমাণ ৬২৬ টন। ওই দুই খনিতে নতুন আবিষ্কৃত সোনার মজুদ এর প্রায় পাঁচ গুণ।

যতদূর জানা যায়, ব্রিটিশ শাসকেরাই প্রথমে সোনাভদ্র অঞ্চলে সোনার খনি সন্ধানের উদ্যোগ নিয়েছিল। তবে অঞ্চলটি সম্প্রতি মাওবাদীদের তৎপরতার কারণেই বেশি খবরের শিরোনাম হচ্ছিল।

উত্তর প্রদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা সোনভাদ্র ভারতের একমাত্র জেলা যার সঙ্গে চারটি রাজ্যের সীমান্ত রয়েছে; এর পশ্চিমে মধ্য প্রদেশ রাজ্য, দক্ষিণে ছত্তিশগড়, দক্ষিণপশ্চিমে ঝাড়খাণ্ড ও পূর্বে বিহার।

ভারতে মূলত অলঙ্কারের জন্যই সোনা ব্যবহার করা হয়। দেশটি সোনার চাহিদা মেটাতে প্রতি বছর বিদেশ থেকে সোনা আমদানি করে। কিন্তু নতুন আবিষ্কৃত মজুদ উত্তোলন করা গেলে সোনা বাবদ আমদানি খরচ কমানো যাবে, দেশটির শিল্পমহল এমনটি মনে করছে বলে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে।