কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ভারত তুলে নেওয়ার সময় থেকে ভারত অঞ্চলটিকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার ছয় মাস পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সীমিতভাবে স্বল্প গতির ইন্টারনেট সুবিধা চালু করলেও ফেইসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও টুইটারের মতো জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো এখনও বন্ধ রয়েছে।
ফলে নিষেধাজ্ঞা ফাঁকি দিতে কাশ্মীরিদের কেউ কেউ ভার্চ্যুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএন ব্যবহার করছেন। বাধা-নিষেধ থাকা ওয়েবসাইটগুলোতে প্রবেশের জন্য এ ব্যবস্থাটি বিশ্বে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়। তবে ভারত কর্তৃপক্ষ এবার ব্যবস্থাটিও দমন করছে।
পুলিশ বলেছে,ভিপিএন ব্যবহারকারী অনেকেই কাশ্মীরে সমস্যা উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।তাদেরকে কঠোর ব্যবস্থার মুখে পড়তে হবে।
কাশ্মীরের সাইবার পুলিশ প্রধান তাহরির আশরাফ বলেছেন,“আমরা ১শ’ জন স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীকে চিহ্নিত করেছি এবং স্যোশাল মিডিয়ার অপব্যবহারসহ ভারত-বিরোধী প্রচার চালানো আরো বেশকিছু ব্যবহারকারীকে চিহ্নিত করব।”
ভিপিএন বা ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ব্যবহারের অভিযোগে ইতোমধ্যেই স্থানীয় বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে বলে জানান তিনি।
জম্মু ও কাশ্মীরের এক টেলিকম কর্মকর্তা বলেছেন, সফটও্যয়ার ইঞ্জিনিয়ারের কয়েকটি টিম কাশ্মীরে ভিপিএন এর ব্যবহার বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, “এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা কিছু বন্ধ করেছি এবং পরে আরো করব। এটি অনেকটা ইঁদুর-বিড়াল খেলার মতো।”
কাশ্মীরের প্রধান নগরী শ্রীনগরের এক ব্যবসায়ী বলেন, তিনি তার সেলফোনে এক ডজন ভিপিএন অ্যাপ ডাউনলোড করেছিলেন। সেগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে তাকে অন্যান্য ভিপিএন ব্যবহার করতে হবে।