অর্থ পাচারের ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ তালিকাভুক্তির মুখে মিয়ানমার

অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে নিয়োজিত আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্স’ (এফএটিএফ) এর ঝুঁকিপূর্ণ বা ‘ধূসর’  তালিকাভুক্তির মুখে আছে মিয়ানমার।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Feb 2020, 01:49 PM
Updated : 19 Feb 2020, 01:49 PM

এমন সিদ্ধান্ত হতে পারে এ সপ্তাহেই।মিয়ানমারের ‘ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’ এর প্রধান কায়াও উইন থেইন এ সপ্তাহে প্যারিসে ‘ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্স’ (এফএটিএফ) এর বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন।রয়টার্সকে তিনি বলেন,“মিয়ানমার এখন পর্যন্ত ধূসর তালিকায় (গ্রে লিস্ট) নেই্।” বৃহস্পতিবারের বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।

মিয়ানমারকে এই ধূসর তালিকায় রাখার মানে হচ্ছে এফএটিএফ মিয়ানমারের অর্থ পাচার এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে ব্যর্থতা এবং ঘাটতি খুঁজে পেয়েছে।

এফএটিএফ এর কার্যপ্রণালী এবং মিয়ানমার বিষয়ক তদন্ত সম্পর্কে ওয়াকিবহাল দুই কর্মকর্তা বলেছেন,মিয়ানমার অর্থ-পাচার বিরোধী কর্মপরিকল্পনা এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করে উঠতে পারেনি। আর সে কারণে দেশটি এ সপ্তাহের বৈঠকেই ধূসর তালিকাভুক্ত হওয়ার পথে আছে। এফএটিএফ সাধারণত বৈঠকের শেষে শুক্রবার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে থাকে।

মিয়ানমার ধূসর তালিকায় থাকলে দেশটি কোনো নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়বে না। তবে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বিনিয়োগ কমতে পারে এবং বাণিজ্যপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত পারে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

এর আগে অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন মোকাবেলায় অগ্রগতির জন্য ২০১৬ সালে মিয়ানমার এফএটিএফ এর ওই তালিকা থেকে মুক্ত হতে পেরেছিল। কিন্তু এরপর আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যর্থতার জন্য দেশটির আবারো ধূসর তালিকাভুক্ত হওয়ার প্রেক্ষাপট তৈরি হল। বর্তমানে ১২ টি দেশ এ তালিকায় আছে।