চিটফান্ড, নারদাসহ বিভিন্ন দুর্নীতি মামলার তদন্তের নামে কেন্দ্রের ‘প্রতিহিংসার রাজনীতির’ কারণে তাপসসহ ‘তিনজনের মৃত্যু’ দেখার কথাও বলেছেন এ তৃণমূলপ্রধান।
৬১ বছর বয়সী তাপস পাল মঙ্গলবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মুম্বাইয়ে মৃত্যুবরণ করেন। পশ্চিমবঙ্গের বাঘা বাঘা অনেক তৃণমূল নেতার পাশাপাশি চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে তারও নাম আসে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
বুধবার এ চলচ্চিত্র অভিনেতার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মমতা ওই চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তের কড়া সমালোচনা করেন।
“কেন্দ্রের প্রতিহিংসার রাজনীতি নিন্দনীয়। কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না। এর কারণে আমি চোখের সামনে তিনটি মৃত্যু দেখলাম।
“আইন অবশ্যই তার নিজস্ব পথে চলবে। কিন্তু দিনের পর দিন যেভাবে অপমান করা হয়েছে, অপপ্রচার চলেছে, এগুলো লোকজনকে নিঃশেষ করে দিয়েছে। আমি এমনকী তাপসের দিকে তাকাতেও পারছি না,” ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
মমতার অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সংস্থার হয়রানির কারণেই ‘অসময়ে’ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তাপস পাল ছাড়া বাকি যে দু’জনের মৃত্যুর জন্য তৃণমূলপ্রধান কেন্দ্রকে দায়ী করলেন, তারা হলেন- তৃণমূল বিধায়ক সুলতান আহমেদ ও দলের আরেক নেতা প্রসূণ বন্দোপাধ্যায়ের স্ত্রী।
“আজ আমি এ কথাগুলো বলতে বাধ্য হচ্ছি। তাপস পালের মৃত্যু প্রমাণ করে বিভিন্ন সংস্থা কীভাবে একজনকে মানসিকভাবে ধ্বংস করে দিতে পারে। তিনি ভয়াবহভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তার ওপর নির্যাতন হয়েছিল। তিনি সম্ভবত কখনোই বুঝতে পারেননি- তার অপরাধ কী ছিল। তিনি এক সময় চলচ্চিত্র জগতের এক নম্বর তারকা ছিলেন। অথচ তাকে এক বছর জেলে কাটাতে হয়েছে,” বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের এ মুখ্যমন্ত্রী।