ভারতে ফৌজদারি আসামিকে প্রার্থী করার ব্যাখ্যা দিতে হবে দলকে

প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগের বিশদ বিবরণসহ তাকে মনোনয়ন দেওয়ার কারণ রাজনৈতিক দলের ওয়েবসাইটে তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Feb 2020, 07:05 AM
Updated : 13 Feb 2020, 08:33 AM

এবিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দলের এক আইনজীবীর করা আদালত অবমাননার মামলার শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট এ আদেশ দেয় বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।

গত চারটি জাতীয় নির্বাচনে ‘রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন উদ্বেগজনক হারে বাড়ার’ কথা তুলে ধরে সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, বাছাইয়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রার্থীদের ফৌজদারি ইতিহাসের বিবরণ দলের ওয়েবসাইটে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ও গণমাধ্যমে তুলে ধরতে হবে।

“ফৌজদারি মামলায় বিচারাধীন প্রার্থীদের বাছাইয়ের কারণও রাজনৈতিক দলগুলিকে তাদের ওয়েবসাইটে তুলে ধরতে হবে।”

পাশাপাশি একই বিবরণী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচন কমিশনে জমা দিতেও সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছে।

রায়ে আদালত বলেছে, “প্রার্থী বাছাই জয়ের সম্ভাব্যতার ভিত্তিতে নয়, যোগ্যতার ভিত্তিতে হওয়া উচিত। জয়ের সম্ভাব্যতা বাছাইয়ের একমাত্র ন্যায়সঙ্গত কারণ হতে পারে না।”

বিচারকরা বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলি বিশদ বিবরণ দিতে ব্যর্থ হলে বা নির্বাচন কমিশন নির্দেশনাটি কার্যকর করতে ব্যর্থ হলে তা আদালত অবমাননা বলে গণ্য হবে।

গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও দলীয় পদাধিকারী নিয়োগ বন্ধে করতে অবিলম্বে আইন প্রণয়নে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারকের সাংবিধানিক বেঞ্চ।

আদালতের আদেশের পরেও রাজনীতির দুর্বৃত্তায়ন বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় বিজেপি নেতা ও আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় আদালত অবমাননার মামলাটি করেছিলেন।

যুক্তিতর্কে নির্বাচন কমিশন বলেছে, ফৌজদারি অভিযোগ প্রকাশে প্রার্থীদের প্রতি আদালতের আদেশের কোনও প্রভাব পড়ছে না। নির্বাচনে ফৌজদারি মামলার আসামিদের ‘টিকেট’ না দিতে রাজনৈতিক দলগুলিকে নির্দেশ দিতে হবে।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া পর ফৌজদারি মামলার বিশদ বিবরণ পত্রিকায় তিনবার প্রকাশ করতে এর আগে আদালত প্রার্থীদের নির্দেশ দিয়েছিল।

নির্বাচন কমিশন এই আদেশ কার্যকর করতে যথেষ্ঠ উদ্যোগী ছিল না বলে আদালত অবমাননার আবেদনে অভিযোগ করেন আইনজীবী।