শনিবার নানগারহার প্রদেশে যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানের বাহিনীর ‘গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের যৌথ প্রশিক্ষণ’ শেষে এ গুলির ঘটনা ঘটে, আফগানিস্তানে মোতায়েন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
“আমরা এখনো তথ্য সংগ্রহ করছি। হামলার কারণ ও উদ্দেশ্য এখনো অজানা,” বিবৃতিতে বলেছেন মুখপাত্র কর্নেল সনি লেগেট।
নানগারহার প্রদেশের ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা মুবারিজ খাদেম এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও আফগান সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ও হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন।
আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর ভিতরে থাকা ছদ্মবেশী হামলাকারীদের আক্রমণ আফগানিস্তানে নিয়মিত ঘটনা হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ ধরনের হামলা হ্রাস পেয়েছিল।
দেশটির প্রতিরক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেছেন, ঘটনাটি আফগান ও বিদেশি সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে ঘটেছে, না কি জঙ্গি হামলা তা পরিষ্কার নয়।
প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘ সীমান্ত থাকা নানগারহার দীর্ঘদিন ধরেই এই অঞ্চলে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের প্রধান ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এখান থেকেই তারা রাজধানী কাবুলসহ আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় বোমা হামলার পরিকল্পনা করে। প্রদেশটির কিছু অংশ তালেবানদেরও নিয়ন্ত্রণে।
আফগান বাহিনীকে পরামর্শ, সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণ এবং সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন নেটো মিশনের অংশ হিসেবে আফগানিস্তানে এখন ১৩ হাজারের মতো মার্কিন সেনা আছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
শনিবারের গোলাগুলির ঘটনাটি এমন সময়ে ঘটলো, যখন নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিনিময়ে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি বাহিনী প্রত্যাহার নিয়ে মার্কিন কূটনীতিকদের সঙ্গে তালেবানের কয়েক মাস ধরে আলোচনা চলছে।
তবে দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চললেও দেশটিতে সহিংসতা কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।