গত বছরের অগাস্টে কাশ্মীরের সাংবিধানিক মর্যাদা ও স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেয়ার সময় মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাহকে গৃহবন্দি করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার তাদের আটকাদেশ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই জননিরাপত্তা আইনে তাদের গৃহবন্দিত্বের মেয়াদ ফের বাড়ানো হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
বিতর্কিত এ আইনে কাউকে অভিযোগ ছাড়াই সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত আটক রাখা যায়।
গৃহবন্দি হওয়ার পর থেকে ওমর কিংবা মেহবুবার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিএফ) নেতা মেহবুবার মেয়ে ইলতিজা মুফতি তার মায়ের টুইটার অ্যাকাউন্ট চালাচ্ছেন। মায়ের গৃহবন্দিত্বের মেয়াদ বাড়ার ঘটনাকে বিজেপি সরকারের ‘স্বৈরাচারি’ পদক্ষেপ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন ইলতিজা।
সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদে দেওয়া বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পাশাপাশি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের ওপর নানান বিধিনিষেধও আরোপ করেছিল।
এসব বিধিনিষেধের মধ্যে ছিল সমাবেশ ও মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা, বিপুল পরিমাণ সৈন্য মোতায়েন এবং মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট পরে কাশ্মীরে মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়ার পদক্ষেপকে অংশত বাকস্বাধীনতার মৌলিক অধিকারের লংঘন হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছিল। কর্তৃপক্ষ পরে উপত্যকাটির মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগের ওপর বিধিনিষেধ তুলে নেয়।
সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিলের সময়ই কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতাকর্মী, ব্যবসায়ীসহ হাজারেরও বেশি লোককে নিরাপত্তা বাহিনী আটক করেছিল বলে ধারণা করা হয়। এদের অনেককে দেশটির অন্যান্য জেলখানাতেও স্থানান্তর করা হয়েছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
মেহবুবার পিডিএফ দলের শীর্ষ নেতারা বলছেন, সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রীকে আটকে রেখে বিজেপি কাশ্মীরের মূলধারার রাজনীতিকদের ‘অপরাধী’ হিসেবে চিত্রিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
“এটা তাদের (ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার) কোনো উপকারেই আসবে না, কাশ্মীরের এখনকার পরিস্থিতি বদলাতেও ভূমিকা রাখবে না। কতদিন আপনারা কাশ্মীরের জনগণকে দমিয়ে রাখতে চান? তারা প্রেসার কুকারের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে,” বলেছেন এক নেতা।