কাশ্মীরের দুই অংশে তুষারধসে নিহত অন্তত ৬৭

পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে তুষারধসের ঘটনায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Jan 2020, 09:47 AM
Updated : 14 Jan 2020, 10:19 AM

পাশের দেশ ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকা কাশ্মীরে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে আরও দশজনের।

ভারি বৃষ্টিপাতের পর নিলম উপত্যকায় এ তুষারধসে অনেক গ্রামবাসী আটকাও পড়েছেন বলে মঙ্গলবার দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ভারি বৃষ্টিপাতের পর ওই এলাকায় ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে।

তুষারধস ও ভূমিধসে অনেকে নিখোঁজ বলেও এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও শঙ্কা তার।

ডনের এক প্রতিবেদনে কেবল রোববার ও সোমবারই বেলুচিস্তান, পাঞ্জাব ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ভূমিধস, তুষারধস ও ভারি বৃষ্টিপাতজনিত কারণে অন্তত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। 

ভারি বর্ষণের পর ভূমিধস ও তুষারধসে আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর, গিলগিট-বালতিস্তান, মালাকান্ড ও হাজারা বিভাগের প্রধান প্রধান সড়ক ও মহাসড়কগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।

বন্ধ হওয়ার তালিকায় কারাকোরামের মহাসড়কটিও আছে। অন্যদিকে তুষারপাতের কারণে খাইবার পাখতুনখোয়ার চিত্রল এলাকাটি প্রদেশটির অন্যান্য এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

হতাহতদের বেশিরভাগই কাশ্মীরের নিলম উপত্যকা এবং বেলুচিস্তানের পার্বত্য এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে ডন। বৃষ্টি ও তুষারধস এ দুই এলাকার দুই ডজনেরও বেশি বাড়িঘর, বেশকিছু দোকান ও একটি মসজিদ ধ্বংস করেছে।

সেনাবাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত কর্মকর্তারাও স্থানীয় প্রশাসনের উদ্ধার অভিযানে সহযোগিতা করছে।

ভারী তুষারপাতে বেলুচিস্তানের দক্ষিণপশ্চিমের পাহাড়ি এলাকার বেশকিছু বাড়ি ধ্বংস করে দিয়েছে, এখানেই নিহত হয়েছে ১৭ জন।

খনিজসমৃদ্ধ প্রদেশটির ৭টি জেলায় জরুরি অবস্থা জারি করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। 

আফগানিস্তানের সঙ্গে সংযোগ সড়কগুলোর বেশিরভাগই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে জরুরি পণ্য সরবরাহও বন্ধ আছে বলে পাকিস্তানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ভয়াবহ ঠাণ্ডা ও ভারী তুষারপাতের কারণে গত দুই সপ্তাহে আফগানিস্তানের ৬ প্রদেশে ৩৯ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছেন দেশটির প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র তামিম আজিমি।

“আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে অর্থ ও অন্যান্য জরুরি সহযোগিতা দিচ্ছি,” বলেছেন তিনি।

তুষারধসে ভারত ও পাকিস্তান সীমান্তে নিহত ১০ জনের মধ্যে ৫ জনই সেনাসদস্য আছে ভারতীয় পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।