কলকাতা নদীবন্দরের নাম শ্যামা প্রসাদের নামে রাখলেন মোদী

দুইদিনের সফরে পশ্চিমবঙ্গে এসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির পূর্বসূরী হিসেবে পরিচিত ভারতীয় জন সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা ড. শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে কলকাতা নদীবন্দরের নামকরণ করেছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Jan 2020, 10:15 AM
Updated : 12 Jan 2020, 10:15 AM

রোববার তার ঘোষণার পর থেকে কলকাতা বন্দর ট্রাস্টের নতুন নাম শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর হল বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।

“শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায় এক জীবন্ত কিংবদন্তি, উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষী এক নেতা যিনি 'এক জাতি, এক সংবিধান' ধারনাকে সামনে রেখে লড়েছিলেন,” ভারতের অন্যতম প্রাচীন কলকাতা বন্দরের দেড়শ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের উদ্বোধনীতে মোদী এমনটাই বলেছেন।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ), এনআরসি ও নাগরিকপঞ্জি নিয়ে কলকাতা জুড়ে তুমুল বিক্ষোভের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার সফরে আসা মোদীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেও বন্দরের দেড়শ বছর পূর্তির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাকে দেখা যায়নি।

শনিবারে সৌজন্য সাক্ষাতে মমতা প্রধানমন্ত্রীকে সিএএ, এনআরসি ও নাগরিকপঞ্জি জোর করে চাপিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেছেন।

“ড. শ্যামাপ্রসাদ ভারতে শিল্পায়নের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ কারখানা, হিন্দুস্তান এয়ারক্রাফট কারখানা, দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনসহ অনেকগুলো প্রকল্পে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল,” রোববার বলেছেন মোদী।

‘পূর্ব ভারতে ঢোকার প্রবেশপথ' হিসেবে খ্যাত কলকাতা বন্দরের নেভিগেশন ব্যবস্থা বিশ্বের অন্যতম বড় বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

“এ বন্দর ভারতের স্বাধীনতা অর্জন দেখেছে, দেখেছে সত্যাগ্রহ থেকে সোয়াচগ্রহের (পরিছন্নতা অভিযান) যাত্রা। এটি ভারতের শিল্পায়ন, আধ্যাত্মিকতা ও স্বনির্ভরতার আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করে। আজ যখন এই বন্দর দেড়শ বছর উদযাপন করছে, আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে একে নতুন ভারতের একটি শক্তিশালী প্রতীকে পরিণত করা,” বলেছেন দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা মোদী।

গুরুত্বপূর্ণ এই নদীবন্দরের দেড়শ বছর পূর্তি উপলক্ষে রোববার একটি স্মারক ডাকটিকেটও প্রকাশ করা হয়েছে বলে দেশটির গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি ও নাগরিকপঞ্জি নিয়ে কলকাতাজুড়ে তীব্র বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মধ্যে শনিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে মোদীর দুই দিনের সফর শুরু হয়।

এদিনই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক শেষে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সিএএবিরোধী একটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।

সফরের দ্বিতীয় দিনের শুরুতে মোদী সিএএবিরোধী বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্তও করেছেন বলেও সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে।

“কারো নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার জন্য নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করা হয়নি, হয়েছে নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য,” বলেছেন তিনি।