নতুন এ আইনের বিরুদ্ধে ভারতজুড়ে প্রবল বিক্ষোভের মধ্যে মঙ্গলবার কেরালা বিধানসভা প্রস্তাবটি পাস করেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
রাজ্যের ক্ষমতাসীন সিপিআই (এম)-এলডিএফ এবং কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ‘ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট’ (ইউডিএফ) নাগরিকত্ব আইন বাতিলের প্রস্তাব সমর্থন করেছে।
কোনও কেন্দ্রীয় আইনের বিরুদ্ধে বিধানসভায় সরকার ও বিরোধীদের একজোট হয়ে সমর্থন জানানোর এমন ঘটনা বিরল। অন্যদিকে, আইনটি বাতিলের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন বিধানসভায় ভারতীয় জনতা পার্টির(বিজেপি) একমাত্র বিধায়ক ও’রাজাগোপাল।
বিধানসভায় একদিনের বিশেষ অধিবেশনে প্রস্তাবটি পেশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। প্রস্তাব পেশের সময় অভিযোগ করে তিনি বলেন, “সিএএ চালুর অর্থই হল ধর্মের ভেদাভেদ তৈরি করা। এ আইন দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তি ও আদর্শ পরিপন্থি। নাগরিকত্ব মঞ্জুরের মধ্য দিয়ে এ আইনে বৈষম্য দেখা দেবে।”
“সংবিধানের নীতি ও মূল্যবোধের সঙ্গে আইনটি সাংঘর্ষিক। দেশের মানুষের উদ্বেগের বিষয়টি বিবেচনা করে সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার বিধান অক্ষুন্ন রাখতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনটি বাতিলে কেন্দ্রের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।”
ভারতের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ করছে উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এতে করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, কেরালায় কোনও ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করতে দেওয়া হবে না।