রোববার রাচিতে শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। হেমন্ত সোরেনকে শপথবাক্য পাঠ করান গভর্নর বা রাজ্যপাল দৌপদী মুর্মু।
শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী, সীতারাম ইয়েচুরি, শরদ যাদবসহ আরো বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। ফলে প্রত্যাশা মতোই এ অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে বিরোধী ঐক্যের মঞ্চ।
মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের পক্ষ থেকে দিনটিকে ‘সংকল্প দিবস' বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। এদিন হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে শপথ নিয়েছেন কংগ্রেসের দুই নেতা আলমগির আলম, রামেশ্বর ওঁরাও এবং আরজেডি বিধায়ক সত্যানন্দ ভোক্তাও। তারা শপথ নেন রাজ্যমন্ত্রী হিসেবে। আর হেমন্ত সোরেন এবার নিয়ে দ্বিতীয়বার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হলেন।
শপথ অনুষ্ঠানের পর কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইট করে লিখেছেন, “আমার বিশ্বাস ঝাড়খণ্ডে নতুন সরকার সব মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করবে এবং রাজ্যকে শান্তি ও উন্নতির পথে নিয়ে যাবে।''
ঝাড়খন্ডে এবার বিজেপি’র দাপটকে রুখে দিয়ে জয় পেয়েছে হেমন্ত সোরেন নেতৃত্বাধীন জেএমএম-কংগ্রেস ও আরজেডি জোট। ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে ধরাশায়ী বিজেপি’র আসন গত বারের চেয়ে ১২টি কমেছে। জামশেদপুর-পূর্বে হেরেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসও। ২৫টি আসনেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বিজেপিকে।
অন্যদিকে, বিরোধী জোটে জেএমএম ৩০টি, কংগ্রেস ১৬টি এবং আরজেডি ১টি আসন পেয়েছে। দেশজুড়ে নতুন নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে বিক্ষোভের মধ্যে ঝাড়খণ্ডের এ জয় বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।