ভারতজুড়ে ক্ষোভের আগুনের মধ্যে এবার কর্ণাটকে ১৪৪ ধারা

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে ভারতজুড়ে ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকায় এবার অশান্তির আশঙ্কায় কর্নাটক রাজ্যের রাজধানী ব্যাঙ্গালুরুসহ বিভিন্ন স্থানে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

নিউজ ডেসকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Dec 2019, 06:26 PM
Updated : 18 Dec 2019, 09:39 PM

পুলিশ বুধবার একথা জানিয়েছে। পুলিশ কমিশনার ভাস্কর রাও এক নিউজ ব্রিফিংয়ে জানান, বৃস্পতিবার সকাল ছ'টা থেকে ২১ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত বেঙ্গালুরুতে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।এনডিটিভি এ খবর দিয়েছে।

ভাস্কর রাও বলেন, “নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অনুমতিবিহীনভাবে চলছে। বিভিন্ন বিক্ষোভ-মিছিলে বিক্ষোভকারীদের ছোড়া পাথরে মানুষ আহত হচ্ছে, সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই আমরা ১৪৪ ধারা জারি করে কোনো মিছিল কিংবা সমাবেশ করতে না দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি।”

“মানুষজনকে রক্ষা করা, স্কুল, কলেজ, ব্যাংক, বিভিন্ন অফিস-আদালত, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, সিনেমা হল, শপিং মল সবকিছু যাতে স্বাভাবিকভাবে চলে সেজন্যই এ পদক্ষেপ। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অব্যাহত থাকবে। এ নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তরুণরা স্কুল কলেজে যেতে পারবে। কিন্তু কোনো বিক্ষোভে অংশ নিতে পারবে না।”

দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি অভিযানের বিরুদ্ধে গত কয়েকদিন থেকে বেঙ্গালুরুতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছে। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) এবং এনআরসি নিয়ে একাধিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহরে বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল।

এতে সমর্থন দিয়েছে কংগ্রেস, এনসিপি এবং সিপিআই(এম)-সহ বামপন্থি দলগুলো। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায়  পরিকল্পনা করা হয়েছিল এ বিক্ষোভ কর্মসূচির। এছাড়া শুক্রবার সন্ধ্যায়ও বেঙ্গালুরুর কলেজ শিক্ষার্থীরা একটি সমাবেশ ডেকেছিল।

আসন্ন এ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার ভাস্কর রাও। কোনও মিছিলের অনুমতি পুলিশ দেবে না বলে আগেই ঘোষণা করেছিলেন তিনি। এর ঠিক কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি হল।

এ ব্যাপারে কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসবরাজ বোমানি বলেছেন, তারা কোনো সহিংসতা চান না। সে কারণেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।