বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা শহর ও এর আশপাশের কয়েকটি গ্রামে অল্প সময়ের শিলাবৃষ্টিতে পুরো এলাকা বরফের পুরু স্তরে ঢেকে যায় বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
এর ফলে যান চলাচলে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটার পাশাপাশি ফসলেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মরু এলাকায় এ ধরনের ‘আচানক শিলাবৃষ্টি’র পেছনে অনেকে জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করছেন।
চলতি সপ্তাহের শেষদিকে উত্তরাঞ্চলীয় এ রাজ্যটিতে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে বলেও পূর্বাভাসে বলছেন আবহাওয়াবিদরা।
এনডিটিভি বলছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি দেখে যে কেউ নাগৌড়কে বরফস্নাত শৈল শহর ভেবে ভুল করতে পারেন।
জেলার ছাপরি, মৌলাসার, কীচক গ্রামে সবচেয়ে ভারী শিলাবৃষ্টি হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।
এক টুইটার ব্যবহারকারী বরফে ঢাকা নাগৌড়ের রাস্তাঘাট, গাছ ও যানবাহনের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। অনেকে আবার এমন পরিস্থিতিতে ফসলের কি হবে তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
“প্রকৃতির প্রতিকূলতা! রাজস্থানের নাগৌড়ে প্রায় ২১ মিনিটের ভারী শিলাবৃষ্টি। কৃষক, গবাদি পশু এবং ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দিল্লিতেও বৃষ্টি হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যাটা ভীষণ বাস্তব। আশা করি আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবো,” টুইটারে বলেছেন বিনোদ কে মিনা নামের এক ব্যবহারকারী।
সৈয়দ আহমদ আফজাল নামে আরেক ব্যবহারকারী জানান, বৃহস্পতিবারের ওই শিলাবৃষ্টিতে নাগৌড়ের সবকিছুই ‘দুধ-সাদা’ হয়ে গেছে।
“কাশ্মীর নয়, রাজস্থানের নাগৌড়। একদিন আগে নাগৌড়ের অভূতপূর্ব শিলাবৃষ্টিতে সব কিছুই এখন দুধ-সাদা,” বলেছেন তিনি।