ওসামা বিন লাদেন পাকিস্তানের হিরো ছিলেন: পারভেজ মুশাররফ

জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়েদার শীর্ষ নেতা ওসামা বিন লাদেন পাকিস্তানের ‘হিরো’ ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Nov 2019, 07:27 AM
Updated : 14 Nov 2019, 07:35 AM

আল কায়েদার আয়মান আল জাওয়াহিরি, হাক্কানি নেটওয়ার্কের জালালুদ্দিন হাক্কানিরাও পাকিস্তানের ‘হিরো’ছিলেন বলে এক সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেছেন তিনি।

পাশাপাশি কাশ্মীরি মুজাহিদিনদের পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাঠানো হয়েছিল বলেও স্বীকার করেছেন।

বুধবার পাকিস্তানি রাজনীতিক ফারহাতুল্লাহ বাবর মুশাররফের ওই সাক্ষাৎকারের ভিডিও ক্লিপ টুইটারে শেয়ার করেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। তবে সাক্ষাৎকারটি কবে নেওয়া তা নিশ্চিত করতে পারেনি ভারতীয় গণমাধ্যমটি।

টুইটারে শেয়ার হওয়া ওই ক্লিপিংয়ে পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান ও প্রেসিডেন্ট মুশাররফকে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরকে অস্থিতিশীল করতে ইসলামাবাদের কৌশল নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে দেখা যায়।

“যে কাশ্মীরিরা পাকিস্তানে আসতেন, তারা বীরের মর্যাদা পেতেন। সাধারণত আমরা তাদের প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দিতাম। আমরা তাদেরকে মুজাহিদিন হিসেবে বিবেচনা করতাম, যারা ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়ছে। এরপর ওই সময়েই লস্কর-ই-তৈয়বার মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর উত্থান ঘটে। তারা ছিল আমাদের হিরো,” বলেন তিনি।

সাক্ষাৎকারে মুশাররফ ওসামা বিন লাদেন ও জালালুদ্দিন হাক্কানির মতো সন্ত্রাসীরাও ‘পাকিস্তানের হিরো’ ছিলেন বলে মন্তব্য করেন।

“১৯৭৯ সালে আফগানিস্তানে ধর্মীয় জঙ্গিবাদের সূচনা ঘটাই আমরা, পাকিস্তানের সুবিধার জন্য ও সোভিয়েতকে দেশটি থেকে সরাতে। সারাবিশ্ব থেকে আমরা মুজাহিদিনদের নিয়ে আসি। তাদের প্রশিক্ষণ দেই, অস্ত্র সরবরাহ করি।

“আমরা তালেবানদের প্রশিক্ষণ দিয়ে (আফগানিস্তানে) পাঠাই। তারাও ছিল আমাদের হিরো। হাক্কানি ছিলেন আমাদের হিরো, ওসামা বিন লাদেন ছিলেন হিরো, আয়মান আল জাওয়াহিরি ছিলেন হিরো।

“তারপর বৈশ্বিক পরিস্থিতি বদলে গেলো। বিশ্ব তাদেরকে অন্যভাবে দেখা শুরু করলো। আমাদের হিরোরা সব খলনায়কে পরিণত হলেন,”বলেছেন তিনি।

এনডিটিভি লিখেছে, ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হস্তক্ষেপের বিষয়টি পাকিস্তান অস্বীকার করে এলেও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্টের এ সাক্ষাৎকার সে কথা বলছে না।

নয়া দিল্লি দীর্ঘদিন ধরেই কাশ্মীরের জঙ্গি উত্থান ও বিস্তৃতির পেছনে পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে। ইসলামাবাদই জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় ও প্রশিক্ষণ দিয়ে অঞ্চলজুড়ে সন্ত্রাসবাদের জ্বালানি যোগাচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।