বিতর্ক আর না বাড়ানোর আহ্বান দিল্লির জামে মসজিদের ইমামের

বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি মামলার রায় মেনে নিয়ে এ নিয়ে বিতর্ক আর না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন দিল্লির জামে মসজিদের শাহি ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Nov 2019, 04:58 PM
Updated : 9 Nov 2019, 06:19 PM

তিনি বলেছেন, ভারতের মুসলিমরা শান্তি চায় এবং সর্বোচ্চ আদালত যে রায় দেবে তাই তারা মেনে নেবে, এটি ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে।

শনিবার এক সর্বসম্মত রায়ে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের পথ পরিষ্কার করে দিয়েছে আর সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে মসজিদ নির্মাণের জন্য শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পাঁচ একর জায়গা বরাদ্দ দিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই রায় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ইমাম বুখারি বলেছেন, “আমরা আদালতের আদেশ মেনে নিয়েছি। এখন কয়েক বছর ধরে চলতে থাকা হিন্দু-মুসলিম ইস্যুও শেষ হওয়া উচিত।”

রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন করার সম্ভাবনা আছে কি না এমন প্রশ্নে, বিষয়টি আর বাড়ানো উচিত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, “ভারতের মুসলিমরা দেশে শান্তি চায়। আদালতের রায়ের আগেই মুসলিমরা জানিয়েছিল, রায় যাই হোক না কেন আদালতের আদেশ মেনে নিবে তারা।”

মামলার রায়ে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের আর্জি এবং বিতর্কিত জমির উপর নির্মোহী আখড়ার দাবি দুটোই খারিজ করে দেন।

আদালত এই জটিলতার সমাধান করেছে এভাবে, পৌনে ৩ একরের ওই স্থানে মন্দির হবে, তবে তা হবে একটি ট্রাস্টের অধীনে। আর মসজিদের জন্য কাছাকাছি অন্য স্থানে পাঁচ একর জমি দিতে হবে সরকারকে।

অযোধ্যার রায়ের পর আবারও ১৯৯২ সালের দাঙ্গা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়া আটকাতে সব রাজনৈতিক দল ও সম্প্রদায়ের নেতারা নিজ নিজ দলের কর্মী ও সমর্থকদের প্রতি শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

ষোড়শ শতকে নির্মিত বাবরি মসজিদটি ১৯৯২ সালে গুঁড়িয়ে দেয় উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। রামচন্দ্রের জন্মভূমিতে এই মসজিদ তৈরি করা হয়েছে বলেই তাদের বিশ্বাস। মসজিদটি ভাঙা নিয়ে ওই বছর হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গায় ভারতজুড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়।

অর্ধ শতাব্দীর বেশি সময় ধরে বাবরি মসজিদ ও রাম জন্মভূমি বিরোধ নিয়ে চলা মামলা এই রায়ের মাধ্যমে শেষ হয়েছে।