কর্তারপুর করিডর উদ্বোধন: পাকিস্তানের মন্দিরে ভারতীয় শিখরা

শিখদের অন্যতম পবিত্র মন্দিরে যাওয়ার একটি ঐতিহাসিক করিডরের উদ্বোধন হয়েছে, ওই করিডর ধরে ভারতীয় শিখ তীর্থযাত্রীরা কোনো ভিসা ছাড়াই পাকিস্তানে মন্দিরটিতে গিয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Nov 2019, 07:06 AM
Updated : 9 Nov 2019, 04:09 PM

কর্তারপুর করিডর ধরে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে পাকিস্তানের ভেতরে সোজা চার কিলোমিটার গেলেই গুরুদুয়ারা দরবার সাহিব কর্তারপুর, জানিয়েছে বিবিসি।

কিন্তু ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনার কারণে গত কয়েক বছর ধরে ভারতীয় শিখ পুণ্যার্থীরা সেখানে যেতে পারছিলেন না। গত মাসে শিখ সম্প্রদায়ের দীর্ঘ দিনের ইচ্ছাকে আমলে নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছায় ইসলামাবাদ ও নয়া দিল্লি।

চুক্তি অনুযায়ী শিখ ধর্মের প্রবর্তক গুরু নানকের ৫৫০তম জন্মবার্ষিকীর কয়েকদিন আগে করিডরটি খুলে দেওয়া হয়।

এর আগে শনিবার সকালে সীমান্তের নিজ নিজ পাশে কর্তারপুর করিডর উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পাকিস্তানের প্রধামন্ত্রী ইমরান খান।

করিডর ব্যবহার করে কর্তাপুরে যাওয়া প্রথম ভারতীয় পুণ্যার্থী দলের ৫৫০ জনের মধ্যে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিং, কংগ্রেস বিধায়ক নভোজিৎ সিং সিধু, বিজেপি সাংসদ সানি দেওলসহ ১৫০ জন ভারতীয় পার্লামেন্টারিয়ান ছিলেন।

১২ নভেম্বর গুরু নানকের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যুক্তরাজ্য, কানাডা থেকেও পুণ্যার্থীরা এখানে আসছেন।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিদিন ওই করিডর ধরে পাঁচ হাজার পু্ণ্যার্থী আসা-যাওয়া করতে পারবেন আর প্রতিদিন ১০ হাজার পুণ্যার্থী ওই মন্দিরটি পরিদর্শন করতে পারবেন।

কর্তারপুর করিডর ব্যবহারে ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের ভিসা না লাগলেও সঙ্গে পাসপোর্ট রাখতে হবে এবং গুরুদুয়ারা দরবার সাহিব যাওয়ার অনুমতিপত্র লাগবে। তবে তারা মন্দিরটির চত্বর ছেড়ে পাকিস্তানের অন্য কোথাও যেতে পারবেন না এবং রাত্রিযাপন করতে পারবেন না।

গুরু নানক তার জীবনের শেষ ১৮ বছর কর্তারপুরে ছিলেন। তার স্মৃতিরক্ষার্থে এখানে মন্দিরটি গড়ে তোলা হয়। নানকের জন্মস্থান গুরুদুয়ারা জনম আস্তানার পর এটিই শিখদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র স্থান। গুরুদুয়ারা জনম আস্তানার অবস্থানও পাকিস্তানে।