বিবিসি জানায়, পোলিও থেকে বেঁচে ফেরা কুহু দাসকে তার ক্যালিপার খুলতে বলা হয়েছিল। যদিও কুহু তার আগেই এক নারী নিরাপত্তাকর্মীকে জানিয়েছিলেন পাজামা না খুলে ক্যালিপার্স খোলা সম্ভব নয়।
সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত আরেক প্রতিবন্ধী জিজা ঘোষকে বলা হয়েছিল তিনি সহযোগী ছাড়া বিমানে ভ্রমণ করতে পারবেন না।
তারা দুজনেই রাজধানী দিল্লিতে প্রতিবন্ধী নারীদের অধিকার নিয়ে আয়োজিত একটি সভায় অংশ নিতে যাচ্ছিলেন।
প্রতিবাদের পর তাদেরকে বিমানে চড়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে দুইজনই বলছেন, তাদের ‘অপমানিত ও লাঞ্ছিত’ হতে হয়েছে।
তিন বছর বয়স থেকে পলিও আক্রান্ত কুহু টাইটেনিয়ামের ক্যালিপার পরে চলাফেরা করছেন বহু বছর ধরে।
রোববার বিকালে যখন তিনি বিমানবন্দরে যান তখন নারী এক পুলিশ কর্মকর্তা তার ক্যালিপারর্স স্ক্যানারে দেওয়ার জন্য তা খুলতে বলেন।
কুহ বলেন, “আমি তা খুলতে অস্বীকৃতি জানানোর পর ওই নারী আরেক কর্মকর্তাকে আমার সামনে ডেকে আনেন এবং বলেন, আমার মত এন কাউকে তিনি আগে কখনো দেখেননি। আমি যেন ভিনগ্রহ থেকে এসেছি।”
কুহু জানান, ভারতের বাইরে কোনো বিমানবন্দরে তিনি এ ধরনের সমস্যায় পড়েননি। তিনি বলেন, “ভারতে প্রতিবারই তারা আমার ক্যালিপার খুলতে বলে, যার অর্থ হচ্ছে আমার পাজামা খুলতে বলা। এটা মেনে নেওয়া যায় না।”
অন্যদিকে, নিজে নিজেই বিশ্ব ঘুরে বেড়ানো প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিবন্ধী জিজা ঘোষকে সহযোগী ছাড়া বিমান ভ্রমণ করতে না দেওয়ার কথা বলায় তিনিও অপমাণিত বোধ করেছেন বলে জানান কুহ দাস।
তিনি বলেন, “আমরা প্রতিবাদ করেছি। আমরা বলেছি এটি বৈষম্যমূলক। ফলে চেক-ইন কাউন্টারে থাকা কর্মকর্তা ক্ষমা চেয়েছেন। তবে আমরা তার ওপর রাগ করিনি। এটি ব্যক্তিগত কোনো সমস্যা নয়। এ থেকে বোঝা যায় প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে এয়ারলাইন্সের আচরণ কেমন।”