বাবরি মসজিদ: ভূমির ‘দাবি ছাড়তে প্রস্তুত’ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড

অযোধ্যার রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলার অন্যতম পক্ষ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড বিতর্কিত ওই ভূমিতে নিজেদের ‘দাবি ছেড়ে দিতে প্রস্তুত’।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Oct 2019, 06:39 AM
Updated : 18 Oct 2019, 07:34 AM

আদালতে জমা দেওয়া মধ্যস্থতাকারী কমিটির এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে বলে বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে এনডিটিভি।

রাম মন্দির নির্মাণের জন্য সরকার যদি জমিটি অধিগ্রহণ করতে চায়, তাহলে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড আপত্তি করবে না; এর বদলে তারা সরকারের কাছে অযোধ্যার এখনকার মসজিদগুলোর সংস্কার এবং উপযুক্ত কোনো জায়গায় নতুন একটি মসজিদ নির্মাণের প্রস্তাব দিতে পারে বলেও সূত্রগুলো জানিয়েছে।

ওয়াকফ বোর্ড ভূমির দাবি ছেড়ে দিলেও বাকি দুই পক্ষ নিরমোহি আখড়া ও রাম লালার মধ্যে ভূমি বিরোধের মীমাংসা কীভাবে হবে, এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের ওই মধ্যস্থতাকারী কমিটি কিছু বলেছে কিনা, তা জানা যায়নি।

বুধবার বিতর্কিত এ রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলার দৈনন্দিন শুনানি শেষে ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের বেঞ্চ মামলাটির রায় অপেক্ষমান রেখেছে। ১৭ নভেম্বর গগৈর মেয়াদ শেষ হচ্ছে; তার আগেই মামলাটির রায় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মধ্যস্থতাকারী কমিটির প্রতিবেদনে যেসব প্রস্তাব ও শর্ত আছে, রায়ে তার প্রতিফলনই দেখা যাবে বলেও অনেকে ধারণা করছেন।

সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি এফএম কালিফুল্লা ছাড়াও মধ্যস্থতাকারী কমিটিতে ছিলেন ‘আধ্যাত্মিক গুরু’ খ্যাত শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর ও আইনজীবী শ্রীরাম পাঞ্চু, চলতি বছরের মার্চ থেকে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন তারা।

বিতর্কিত এ ভূমি বিরোধ মামলার রায় নিয়ে যেন কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা তৈরি না হয় সে জন্য অযোধ্যায় চার বা তার বেশি লোকের সমবেত হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে উত্তর প্রদেশ সরকার।

রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদের ভূমি দাবিদার পক্ষগুলোর চারটি মামলায় ২০১০ সালে এলাহাবাদ হাই কোর্ট অযোধ্যার বিতর্কিত ওই ২ দশমিক ৭৭ একর জমি বিবদমান তিনটি পক্ষ- সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নিরমোহি আখড়া ও রাম লালা বিরাজমানের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেওয়ার রায় দিয়েছিল। শীর্ষ আদালতে ওই রায়ের বিরুদ্ধে ১৪টি আপিল জমা পড়ে।

এনডিটিভি বলছে, বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে রামের জন্ম এবং সেখানে থাকা পুরনো মন্দির গুঁড়িয়েই বাবরি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল বলে বিশ্বাস অনেক হিন্দু ধর্মাবলম্বীর। ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা ষোড়শ শতকে নির্মিত ওই মসজিদটি ভেঙে ফেললে ভারতজুড়ে ভয়াবহ দাঙ্গা দেখা দিয়েছিল।