জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা কড়াকড়ি ধীরে ধীরে শিথিল হওয়ার পাশাপাশি মোবাইল সেবা চালুর পর বুধবার প্রথম এ হত্যার ঘটনা ঘটল।
পুলিশ জানিয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দক্ষিণ কাশ্মীরের একটি গ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ধরতে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালালে বন্দুকযুদ্ধে তিন বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধা নিহত হয়।
কাশ্মীর পুলিশের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “তিন জঙ্গির মৃতদেহ ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। সেখান থেকে অস্ত্র এবং গোলাবারুদসহ বেশকিছু অবৈধ জিনিসপত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।”
তবে বন্দুকযুদ্ধে পুলিশ বা সেনাবাহিনীর কেউ হতাহত হয়নি বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা।
ওদিকে ভিন্ন এক ঘটনায় পুলওয়ামা জেলায় পাওয়া গেছে ছত্তিসগড় থেকে আসা ওই শ্রমিকের লাশ। তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদীরাই হত্যা করেছে বলে ধারণা পুলিশের।
গত ৫ অগাস্ট ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে। তার আগেই সেখানে কড়া নিরাপত্তার জন্য হাজার হাজার বাড়তি নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছিল। উস্কানি প্রতিরোধের কথা বলে স্থানীয় তিন শতাধিক রাজনীতিবীদকেও গৃহবন্দি বা কারাবন্দি করা হয়।
কারফিউ জারি করে চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি টেলিফোন, মোবাইল এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
আড়াই মাস আগের ওই জরুরি অবস্থা ধীরে ধীরে শীথিল হতে শুরু করেছে। গত সোমবার থেকে কাশ্মীরে ফের পোস্টপেইড মোবাইল সেবা চালু করা হয়। নির্দিষ্ট কিছু স্থানে ইন্টারসেবাও দেওয়া হচ্ছে।
যদিও সেখানে নজরদারির অভিযোগ আছে এবং বহু কাশ্মীরিই এখনো ইন্টোরনেট সেবা পাচ্ছেন না। নিরাপত্তা কড়াকড়িও এখনো অনেক জায়গাতেই বহাল আছে।
কাশ্মীর পুলিশের পক্ষ থেকে এক টুইটে বলা হয়েছে, “পুলওয়ামায় শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়া এলাকাটি পুলিশ ঘিরে রেখেছে।”
ওই শ্রমিকের নাম সাগর। তিনি ইটের ভাটায় কাজ করতেন। কাকাপোরা এলাকার রেললাইন ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় পথে দুই ব্যক্তি তার রাস্তা আটকায় এবং মাথায় গুলি করে তাকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।