এ দুটি বিমান এবং প্রতিরক্ষার বেশকিছু খাতে ভারতের সঙ্গে ১৯ কোটি ডলারের চুক্তির কথা সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসকে জানিয়েছে পেন্টাগন।
সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের মাঝামাঝি নাগাদ দিল্লিতে পৌঁছাবে এ বিমানগুলো; যা প্রযুক্তির দিক থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিমানকে পাল্লা দিতে পারবে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আনন্দবাজার।
সুরক্ষিত এ বিমানগুলোতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চাইলেই তার দপ্তরের ছোট সংস্করণকে তুলে আনতে পারবেন, বলছেন কর্মকর্তারা।
আনন্দবাজার বলছে, ভারতই প্রথম দেশ, যাকে এই প্রযুক্তি বেচতে রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এত দিন বিদেশে দূরপাল্লার সফরে এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বোয়িং-৭৪৭-৪০০ বিমানে পাড়ি দিতেন তিন ভিভিআইপি। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে এই বিমানের নামকরণও ছিল ‘এয়ার ইন্ডিয়া-ওয়ান’ । রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও ছিল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির।
নতুন বিমানের ককপিটে আপাতত রাখা হবে বিমানবাহিনীর বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত পাইলটেরা। বিমানবাহিনী দায়িত্ব নিলে, এর নামও (কল সাইন) বদলে যেতে পারে এয়ার ফোর্স ওয়ানে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘রাজকীয়’ বিমান পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে পাড়ি দিলেও সহজে তেল ভরা লাগে না। মাঝ আকাশেই দিব্যি সেরে ফেলা যায় যেকোনো মিটিং। যোগাযোগ করা যায় দুনিয়ার যে কোনও শহরের সঙ্গে।
আমেরিকা এখন দু’টি বোয়িং-৭৪৭-২০০বি বিমানকে ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’ হিসেবে ব্যবহার করে। ভারতের নতুন দু’টি ভিভিআইপি বিমানের সুরক্ষা-ব্যবস্থা সেগুলির মতোই হবে বলে বক্তব্য ভারতের সরকারি সূত্রের।
অবশ্য এখন মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্যও নতুন দু’টি বিমান তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার। সে দেশের প্রতিরক্ষা দফতরের প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী, নতুন দু’টি বিমান তৈরির খরচই গিয়ে ঠেকতে পারে ৫২০ কোটি ডলারে।
নিরাপত্তার জন্য ভারতের রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর জন্য এমন সুরক্ষিত বিমানের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কারওই আপত্তি নেই, কিন্তু সবারই প্রশ্ন এর খরচ নিয়ে।
এমনিতেও মোদীর বিদেশ সফর নিয়ে বিরোধিরা সমালোচনায় মুখর। তার ওপর এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বকেয়া গিয়ে ঠেকেছে এক হাজার ১৪৬ কোটি রুপিতে।
নতুন এ অত্যাধুনিক বিমানগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালন ব্যয়ও কম হওয়ার নয়। এত খরচ সামাল দেয়া সম্ভব কিনা- বিরোধিরা সে প্রশ্নই করছেন।