সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ও বিরোধীদের তুমুল সমালোচনার মধ্যে মঙ্গলবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের এ স্পিকার পদত্যাগ করেছিলেন।
কাঠমান্ডুর একটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে রোববার তাকে আটক করা হয় বলে বিবিসি জানিয়েছে।
মাহারা গত ২৯ সেপ্টেম্বর মদ্যপ অবস্থায় বাসায় গিয়ে ওই নারী কর্মীকে লাঞ্চিত করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
“এরকম কিছু ঘটবে আমি ভাবিনি। তিনি জোর করছিলেন, আমি যখন পুলিশ ডাকার কথা বলি তখন তিনি চলে যান,” স্থানীয় গণমাধ্যমকে এমনটাই বলেছেন পার্লামেন্ট সচিবালয়ের ওই কর্মী।
সাবেক মাওবাদী বিদ্রোহী মাহারা তার বিরুদ্ধে ওঠা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
যে শান্তি আলোচনার মাধ্যমে ২০০৬ সালে নেপাল দশককালের গৃহযুদ্ধের সমাপ্তি টেনেছিল, মাহারা ওই আলোচনায় মাওবাদী বিদ্রোহী অংশের প্রধান মধ্যস্থতাকারী ছিলেন।
২০১৭ সালের নির্বাচনে কট্টর ও মধ্যপন্থি কমিউনিস্ট দলগুলোর জোট থেকে সাংসদ ও পরে স্পিকার হয়েছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার পদত্যাগের সময় তিনি জানান, ধর্ষণের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থেই তিনি পদ ছেড়ে দিচ্ছেন।
এর আগে ক্ষমতাসীন নেপালি কমিউনিস্ট পার্টিও মাহারাকে পদত্যাগের অনুরোধ জানিয়েছিল।