উত্তর প্রদেশের সহারনপুর আশ্রম থেকে শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় আনন্দবাজার।
গ্রেপ্তারের পর চিন্ময়ানন্দকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য শাহজাহানপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। তাকে বিকালে আদালতে উপস্থাপন করার কথা।
তাবে তার বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ আনা হয়েছে বা হবে সে বিষয়ে পুলিশ মুখ খোলেনি বলে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়।
শাহজাহানপুরের ওই শিক্ষার্থী গত সোমবার আদালতে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে জবানবন্দি দেন।
ওই তরুণীর অভিযোগ, গত এক বছর ধরে চিন্ময়ানন্দ তাকে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করেছেন।
তার আগে গত ২৩ অগাস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একটি ভিডিও পোস্টে সর্বপ্রথম চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ আনেন ওই তরুণী।
পরদিন থেকেই নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় তরুণীর পরিবার থানায় অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ রাজস্থানের জয়পুর থেকে তাকে উদ্ধার করে।
উদ্ধারের পর তরুণী পুলিশকে বলেন, চিন্ময়ানন্দের ভয়ে তিনি বন্ধুদের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি ধর্ষণের এবং এ বিষয়ে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তোলেন।
তার দাবি, তিনি গোপন ক্যামেরায় ‘চিন্ময়ানন্দের কুর্কীতির’ ভিডিও ধারন করেছেন।
এ খবর প্রকাশের পর ভারত জুড়ে হইচই পড়ে যায়। এমনকি উত্তর প্রদশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ঘনিষ্ঠজন চিন্ময়ানন্দকে আড়াল করার চেষ্টার অভিযোগও উঠে।
পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিশেষ তদন্ত দল (সিট) ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করে এবং চিন্ময়ানন্দকে গ্রেপ্তার করে।
আনন্দবাজার জানায়, অভিযোগকারী তরুণী প্রমাণ হিসেবে তদন্ত দলের হাতে মোট ৪৩টি ভিডিও তুলে দিয়েছে।
পাশাপাশি প্রমাণের খোঁজে তরুণীর হোস্টেল এবং চিন্ময়ানন্দের বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে।