বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে হেনস্তার শিকার বাবুল সুপ্রিয়

পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি) আয়োজিত সেমিনারে অংশ নিতে গিয়ে অপদস্ত হতে হয়েছে ইউনিয়ন মন্ত্রী এবং গায়ক বাবুল সুপ্রিয়কে।

নিউজডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Sept 2019, 07:05 AM
Updated : 20 Sept 2019, 07:19 PM

তার অভিযোগ, “একদল শিক্ষার্থী আমাকে চুল ধরে টেনে নেয় এবং ধাক্কা মারে, আমার শার্ট ছিঁড়ে ফেলে।”

এনডিটিভি জানায়, ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের সংগঠন এবিভিপি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সেমিনারের আয়োজন করে। যেখানে বাবুল অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন।

কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, বাবুলের গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার মুখে শিক্ষার্থীদের বড় একটি দল তাকে ঘিরে ফেলে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ‍প্রাঙ্গনে ঢুকতে বাধা দেয়। 

এক পর্যায়ে ভিড়ের মধ্যে কয়েকজন এই গায়ককে ধাক্কা মারতে শুরু করে। ধস্তাধস্তিতে তার শার্ট ছিড়ে যায়। বলতে গেলে উত্তেজিত জনতা তাকে তুলে নিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।

পরে পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর জয়দীপ ধনকর ঘটনাস্থলে গিয়ে বাবুলকে সেখান থেকে বের করে আনেন।

এ ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের নিন্দা জানিয়ে  শুক্রবার সকালে টুইটারে একটি পোস্ট দেন বাবুল।

ছবি: পিটিআই

“আপনার কাছে ছয় ঘণ্টায়ও উত্তর দেওয়ার মত শব্দ ছিল না। মমতা সরকার থেকে ওই সময়ে কোনো ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়নি। আপনার নোংরা রাজনীতি আপনার যুক্তিবোধকে পরাভূত করেছে। যদি ভাইস চ্যান্সেলর চাইতেন তবে বিকাল ৩টার মধ্যেই ঘটনা শুরুর আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারতেন। এবিভিপি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই ওই অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিল।

“আমি সেখানে রাজনীতি করতে যাইনি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীর ব্যবহার আমাকে সত্যিই আহত করেছে, বিশেষ করে তারা যেভাবে আমার বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছে।”

শিক্ষার্থীরা বাবুলকে ‘চলে যেতে’ এবং তাকে ‘নকশাল’ বলেও স্লোগান দেয়। ওই শিক্ষার্থীরা বাম দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানায় এনডিটিভি।

বাবুল এ ঘটনার জন্য পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেন।

যা অস্বীকার করে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, তারা কোনোভাবেই ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।

বরং বাবুল ঘটনাটিকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছেন জানিয়ে বলে, “তৃণমূল বা পুলিশ এর সঙ্গে জড়িত নয়। তিনি সরকারকে কিছু না জানিয়েই সেখানে গিয়েছিলেন এবং গভর্নর রাজ্য প্রশাসনকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কোনো সুযোগই দেননি।”