মোদী-মমতা বৈঠক, হলুদ গোলাপে বন্ধুত্বের বার্তা

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে। দিল্লিতে দুইজনের বৈঠক থেকে এমন আভাসই পাওয়া গেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2019, 05:40 PM
Updated : 18 Sept 2019, 06:14 PM

বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ মোদীর বাসভবনে পৌঁছান মমতা। মোদীকে পুষ্পস্তবক দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তিনি। মোদীর হাতে একথোকা হলুদ গোলাপ তুলে দেন মমতা। হাসিমুখে মমতাকে পাল্টা শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রীও।

অথচ কয়েকমাস আগেই লোকসভা ভোটের প্রচারে দুইজনই পরস্পরকে আক্রমণ করেছিলেন বাক্যবাণে। ভোটের পর প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণে যাননি মমতা। এড়িয়ে গিয়েছিলেন বৈঠকও। অবশেষে সেই মোদীর কাছেই গেলেন মমতা। মঙ্গলবার বিমানে করে মমতা দিল্লি যান। বুধবার বিকালে স্থির করা হয়েছিল বৈঠক।

এদিন বৈঠক শেষে মমতা সাংবাদিকদের বলেন, তিনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নাম পরিবর্তন বিষয়ে মোদীর সঙ্গে আলাপ করেছেন এবং মোদীকে দুর্গা পূজার নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

“প্রধানমন্ত্রী আমাকে পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন বিষয়ে কিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার সঙ্গে বৈঠক ভালো হয়েছে...আমরা উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই মূলত আলোচনা করেছি।”

প্রায় ১৫ মাসের মধ্যে মোদীর সঙ্গে মমতার এটি প্রথম বৈঠক এবং একইসঙ্গে এবছর জাতীয় নির্বাচনের পরও দুইজনের মধ্যে এটিই প্রথম বৈঠক বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

এবারের জাতীয় নির্বাচনে মমতার পশ্চিমবঙ্গের ঘাঁটি রীতিমত নাড়িয়ে দিয়েছিল মোদীর দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। সেখানে ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টি জিতেছে দলটি। অথচ তার আগের নির্বাচনে বিজপির আসন ছিল মাত্র দুইটি। নির্বাচনের পর মমতার দলের অনেক প্রভাবশালী নেতা বিজেপি’তে যোগ দিয়েছেন।

দিল্লি রওয়ানা হওয়ার আগে মমতা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তিনি মোদীর সঙ্গে ‘নিয়মিত’ বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। সেখানে তিনি কেন্দ্রের তহবিল থেকে রাজ্যের পাওনা চাইবেন।

কিন্তু বৈঠক শেষে মমতার সুর পুরো পাল্টে গেছে। বৈঠক নিয়ে তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমরা আমাদের রাজ্যের নাম পরিবর্তন করে বাংলা করতে চাইছি এবং এ নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা সব সময়ই অন্যদের পরামর্শও শুনি।”

মোদীর সঙ্গে বৈঠক শেষে মমতার কথায় খুশির রেশ পাওয়া গেলেও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, সাবেক পুলিশ প্রধান রাজীব কুমারকে বাঁচাতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

তারা বলেন, “তা না হলে কেন তিনি হঠাৎ করে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন।”