শুক্রবার রাতে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের নর্থ ওয়াজিরিস্তান জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর টহল দলের উপর হামলায় এক সেনা নিহত হয় বলে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) বরাত দিয়ে জানিয়েছে ডন।
শনিবার একই প্রদেশে আরেকটি ঘটনায় তিন সেনা নিহত ও একজন আহত হন। দির এলাকায় আফগান জঙ্গিরা সীমান্তের ওপার থেকে সীমান্ত বেষ্টনী পাহারায় নিয়োজিত নিরাপত্তা সদস্যদের ওপর গুলি চালালে এরা হতাহত হয়।
অপর ঘটনায় কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন বালাকোট গ্রামে ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে ৪০ বছর বয়সী এক নারী নিহত হয়েছে অভিযোগ পাকিস্তানের।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দুই পৃথক সীমান্তে গোলাগুলির এসব ঘটনায় শনিবার আফগানিস্তান ও ভারতের দূতদের তলব করেছিল ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে আফগান জঙ্গিদের গুলি চালানোর ঘটনায় জবাবদিহিতা চাইতে আফগানিস্তানের এক দূতকে তলব করা হয় বলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন।
সীমান্তের আফগান অংশের নিরাপত্তার দায় যে কাবুলের, আফগান দূতের সঙ্গে আলোচনায় তার উপরই জোর দেয়া হয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে আফগানিস্তান সরকারের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্তের ওপার থেকে পাকিস্তানি বাহিনীই আদের ভূখণ্ডে তুমুল গোলাবর্ষণ করে আসছে বলে অভিযোগ করেছেন আফগান কর্মকর্তারা, জানিয়েছে রয়টার্স।
আফগানিস্তান ও পাকিস্তান উভয় দেশই তাদের মধ্যে থাকা দীর্ঘ সীমান্তজুড়ে বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে; দেশদুটি একে অপরের বিরুদ্ধে জঙ্গিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ারও অভিযোগ করেছে।
শনিবার পাকিস্তান ভারতের এক দূতকেও তলব করে।
চলতি বছরের ৫ অগাস্ট নয়াদিল্লি তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে সেখানে আরো সেনা পাঠানোর পর পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের উত্তেজনা তীব্র হয়ে উঠেছে। কাশ্মীর সীমান্তে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলারও খবর পাওয়া গেছে।
ভারত ইচ্ছা করেই বেসামরিক এলাকায় হামলা চালাচ্ছে বলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র মোহাম্মদ ফয়সাল অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াইরত জঙ্গিদের সহায়তার অভিযোগ করে আসছে নয়াদিল্লি, আর নিয়মিতভাবেই ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করে আসছে।