স্থানীয় চার সশস্ত্র বিদ্রোহী দলের জোট নর্দার্ন অ্যালায়েন্স এই হামলার দায় স্বীকার করে বলেছে, আগামী দিনগুলোতে এরকম আরও হামলার মুখোমুখি হতে হবে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্রোহীদের হামলার প্রধান লক্ষ্য ছিল শান রাজ্যের পায়িন উ লউয়িন শহরের ডিফেন্স সার্ভিসেস টেকনোলজিক্যাল একাডেমি,যেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যদের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হয়।
এছাড়া আরও চারটি জায়গায় বৃহস্পতিবার প্রায় একই সময়ে বিদ্রোহীরা হামলা চালায় বলে মিয়ানমারের সেনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বিদ্রোহীরা গোক টুইন ভ্যালির আরেকটি সেতু ধসিয়ে দিয়েছে এবং ওই শহরের মাদক নিয়ন্ত্রণ পুলিশের দপ্তর পুড়িয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তুন তুন নাই।
শান রাজ্যের বৃহত্তম শহর লাশিওগামী মহাসড়কের একটি টোল আদায় কেন্দ্রেও লড়াই হয়েছে খবর পাওয়া গেছে।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, কেবল গোক টুইনেই সাতজন সেনা সদস্যকে বিদ্রোহীরা হত্যা করেছে; টোল আদায় কেন্দ্রে হামলায় মারা গেছে দুইজন। এছাড়া মিলিটারি কলেজের হামলায় বেসামরিক কর্মীরাও নিহত হয়েছেন।
মিয়ানমারের ওই অঞ্চলে বেশ কয়েকটি সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠী তাদের অধিকারের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে আসছে।
এরকম চারটি দল- কচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ), টাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ), মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) এবং আরাকান আর্মি (এএ) মিলে গঠন করেছে নর্দার্ন অ্যালায়েন্স।
মিয়ানমার সরকার দেশের বিভিন্ন সশস্ত্র দলের সঙ্গে ২০১৫ সালে শান্তি চুক্তি করলেও নর্দার্ন অ্যালায়েন্স তাতে সাড়া দেয়নি।
টাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির মুখপাত্র মং আইক কিয়াও রয়টার্সকে বলেন, সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক অভিযানের জবাবেই বৃহস্পতিবারের হামলা চালানো হয়েছে।
“সরকার আমাদের এ এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। কিন্তু সেনাবাহিনী যদি না চায়, শান্তি কোনোদিন আসবে না।”