শুক্রবার মোন রাজ্যের থাফিউ কোনে গ্রামের ওই ভূমিধসে ঘরবাড়ি ও ভবন চাপা পড়েছে এবং একদিন পর শনিবার পর্যন্ত বহু লোক নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মোন রাজ্যের দমকল বাহিনীর পরিচালক টিন মাউং নি রয়টার্সকে বলেছেন, “উদ্ধারকারী দল গতকাল ২২টি আর আজ সকালে আরও সাতটি লাশ উদ্ধার করেছে।
জীবিত আরও ২৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং তাদের নিকটবর্তী বড় শহর মলামিয়াইনের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলার সময় আরও তিনটি লাশ উদ্ধার হয়।
নিজের বাড়ির ধ্বংসাবশেষের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ৩৫ বছর বয়সী নারী নাইয়ো নাইয়ো উয়িন বলেন, “আমার বাড়ি ছিল এটি। কিন্তু এখন সবকিছু গেছে। আমাদের আর কিছু নাই।”
নিজের সন্তান ও বাবাসহ পরিবারের নয় জনকে হারিয়েছেন বলে জানান তিনি।
“সামনে যা কিছু পড়েছে সবই চাপা দিয়ে গেছে। তাদের মধ্যে আমার বাবা ও আট সন্তানও আছে। তারা বাড়িতে ছিল। এত দ্রুত, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সব ঘটে গেল,” বলেন তিনি।
উদ্ধার পাওয়া ৩৫ বছর বয়সী ব্যক্তি ফিয়ো কো কো ও বলেন, “প্রথমে ‘বুম’ ধরনের একটি শব্দ শুনলাম, তারপর কাদার নিচে চাপা পড়লাম।”
কাদা ও পাথরের নিচ থেকে বের হওয়ার চেষ্টাকালে তার পায়ের চামড়া ভীষণভাবে ছড়ে যায়।
৪২ বছর বয়সী চান আয়ে জানান, ভূমিধস তার ছেলে ও স্ত্রীকে নদীতে ঠেলে নিয়ে গেছে।
“ভূমিধসের ধাক্কায় চলে যাওয়ার সময় আমি তাদের জড়িয়ে ধরে রেখেছিলাম,” বলেন তিনি।
গত কয়েকদিন ধরে মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে দেখা দেওয়া বন্যায় অন্তত ১২ হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে ভাষ্য জাতিসংঘের।
বন্যার পানির স্রোতে আশপাশের অন্যান্য শহরের ঘরবাড়ি ও স্কুল ভেসে গেছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ সংস্থার দপ্তর।
আসছে দিনগুলোতেও ওই অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।