মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস হয়েছে। প্রস্তাবের পক্ষে পড়েছে ৩৬৭টি ভোট। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন মাত্র ৬৭ জন সাংসদ। বিলের প্রতিবাদে কয়েকটি বিরোধী দল ওয়াক আউট করে।
সোমবার রাজ্যসভায় সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করা হয় । পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরির কথাও ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এখন লোকসভাও এ পদক্ষেপে সায় দিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিল। মঙ্গলবার সারা দিনই কাশ্মীর পুনর্গঠন বিলের প্রস্তাব নিয়ে লোকসভায় আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিলের সমর্থনে নিজের প্রস্তাব পেশ করেন। বিরোধীদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ‘‘জম্মু-কাশ্মীরের অবস্থা স্বাভাবিক হলেই আবার পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’’ কাশ্মীরের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতি গ্রেপ্তার হওয়ার অভিযোগও তিনি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়নি আটকও করা হয়নি। বিরোধীদের উদ্দেশ্যে অমিত শাহ বলেন, ‘‘ঐতিহাসিক ভুল নয়, বরং ঐতিহাসিক ভুল শুধরে নিচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।’’
কাশ্মীর পুনর্গঠন বিলে বর্তমান জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে ভাগ করে দু'টি কেন্দ্র শাসিতঅঞ্চল করার কথা বলা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মী একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হবে। অন্যদিকে, লাদাখও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হবে।
জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষেত্রে পৃথক আইনসভা থাকলেও লাদাখের জন্য তা থাকবে না। সেইসঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষেত্রে সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে লেফটেন্যান্ট গভর্নর বা উপ-রাজ্যপাল পদ তৈরি করা হবে বলে উল্লেখ আছে বিলে।