এক টুইটে রাহুল লেখেন, ‘‘সংবিধান লঙ্ঘন করে, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জেলে পুরে ও জম্মু-কাশ্মীরকে দ্বিখণ্ডিত করে জাতীয় সংহতিকে শক্তিশালী করা যায় না। শুধু কিছু জমির খণ্ড দেশকে গড়ে তোলেনি, দেশ গড়ে তুলেছেন দেশের নাগরিকরাই। প্রশাসনিক ক্ষমতার এ অপব্যবহার দেশের নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক।”
সোমবার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করার প্রস্তাব পাস করিয়ে নেয় সরকার। যার জেরে বিশেষ মর্যাদার অধিকার হারাতে চলেছে জম্মু ও কাশ্মীর। পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরির কথাও ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, ওই ঘোষণার সময়ই কংগ্রেস সদস্যদের একটি অংশ ‘গণতন্ত্রের হত্যা’ বলে সরকারের সমালোচনায় সরব হয় আর অন্যান্যরা পদক্ষেপটি সমর্থন করেন। ফলে কাশ্মীর ইস্যুতে কংগ্রেসের অবস্থান কি হবে তা নিয়ে বিড়ম্বনা দেখা দেয়।
এ পরিস্থিতিতে দলের অবস্থান ঠিক করতে মঙ্গলবার সকালে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাংসদদরা বৈঠক করেন। এরপরই রাহুল সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে এ সমালোচনা করলেন।