সোমবার ভারতের বিভিন্ন অংশ থেকে বিমানে করে তাদের জম্মু ও কাশ্মীরে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
কয়েকটি সূত্র এনডিটিভিকে জানিয়েছে, ভারতীয় বিমান বাহিনীর সি-১৭ পরিবহন বিমানে করে আধাসামরিক বাহিনীর ওই সদস্যদের শ্রীনগরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
গত সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীরে অতিরিক্ত ৩৫ হাজার সেনা মোতায়েন করেছিল দিল্লি। এবার তাদের সঙ্গে অতিরিক্ত এই আট হাজার সেনাও যুক্ত হচ্ছে।
বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ায় কাশ্মীরে ব্যাপক জনরোষ দেখা দিতে পারে, এমন আশঙ্কায় রাজ্যজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করতে সেখানে ব্যাপক সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।
এর আগে গত সপ্তাহে নিরাপত্তা শঙ্কার কারণ দেখিয়ে অমরনাথের পথে থাকা হিন্দু পুণ্যার্থী ও কাশ্মীর উপত্যকায় থাকা পর্যটকদের তাৎক্ষণিকভাবে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
এরপর রোববার রাত থেকে কাশ্মীরের শীর্ষ নেতাদের গৃহবন্দি করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। যাদের গৃহবন্দি করা হয়েছে তাদের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিও রয়েছেন।
বিজেপিবিরোধী হিসেবে পরিচিত ওই নেতাদের গৃহবন্দি করার পাশাপাশি সব ধরনের সভা, সমাবেশ ও জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বহু জায়গায় ফোন ও ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে।
আনন্দবাজার লিখেছে, জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশকে অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে গুঞ্জন থাকলেও সরকার তা স্বীকার করেনি।
তবে স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে বিএসএফকে থানা পাহারা দিতে দেখা গেছে। বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়।
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ আর্টিকেল জম্মু ও কাশ্মীরকে তাদের নিজস্ব সংবিধান রাখার পাশাপাশি প্রতিরক্ষা, যোগাযোগ ও বৈদেশিক সম্পর্ক বাদে আর সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দিয়েছিল। ভারতীয় সংবিধানের এই অংশটি বাতিল হলে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার অধিকার শেষ হবে। এই ৩৭০ আর্টিকেলের আশ্বাসেই ১৯৪৭ সালে কাশ্মীর ভারতীয় ইউনিয়নে যোগ দিয়েছিল।
সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করার প্রস্তাবের পাশাপাশি ‘জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ বিল’ নামে আরও একটি প্রস্তাব দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার, যা পাস হলে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ হবে আলাদা দুটো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। রাজধানী দিল্লির মতো জম্মু ও কাশ্মীরে আইনসভা থাকবে, তবে লাদাখে তা থাকবে না।